**মায়ামি ওপেনে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে বাজিমাত তরুণ চেক খেলোয়াড় মেনসিকের**
টেনিস বিশ্বে আলোড়ন তুলেছেন ১৯ বছর বয়সী চেক খেলোয়াড় জ্যাকুব মেনসিক। মায়ামি ওপেনের ফাইনালে তিনি হারিয়েছেন কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচকে।
সরাসরি সেটে ৭-৬ (৪), ৭-৬ (৪) ব্যবধানে জয়ী হয়ে নিজের প্রথম এটিপি খেতাব নিশ্চিত করেছেন মেনসিক। একইসাথে, সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচের শততম খেতাব জয়ের স্বপ্নও ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
পুরুষদের টেনিসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন মেনসিক। র্যাঙ্কিংয়ে ৫৪ নম্বরে থাকা এই তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে হার মানতে হলো বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় জোকোভিচকে।
খেতাব জয়ের পর মেনসিকের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলার শেষে তিনি বলেন, “ছোটবেলায় আমি আপনার খেলা দেখেই টেনিস খেলতে শুরু করি। ফাইনালে আপনাকে হারানো একজন টেনিস খেলোয়াড়ের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ।”
ম্যাচে জোকোভিচকে কিছুটা অস্বস্তিতে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে খেলা দেরিতে শুরু হওয়ার পর তার চোখে ফোলাভাব ছিল।
দ্বিতীয় গেমে একটি দুর্বল শট খেলে ব্রেক হারান তিনি। এমনকি, পঞ্চম গেমে কোর্টে পড়ে যান এবং কিছুটা সময় নিয়ে উঠে দাঁড়ান। এরপর টাইব্রেকের শুরুতে মেনসিক ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেন।
ম্যাচে হারলেও জোকোভিচ মেনসিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার স্বীকার করতে কষ্ট হচ্ছে, তবে তুমি ভালো খেলেছ। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তুমি নিজের সেরাটা দিতে পেরেছ।”
২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জুনিয়রের ফাইনালে খেলার সময় মেনসিককে নিজের সঙ্গে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জোকোভিচ।
এই জয়ের পথে মেনসিক তৃতীয় বাছাই টেইলর ফ্রিৎজকে হারিয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে হাঁটুতে ব্যথার কারণে তিনি খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।
পরে ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তায় তিনি খেলায় ফিরেন এবং জয় ছিনিয়ে আনেন। খেতাব জয়ের পর মেনসিক জানান, “আমি সত্যিই জানি না, কী বলব। এটা অবিশ্বাস্য।”
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান