নোভাভ্যাক্স-এর কোভিড-১৯ টিকা : সম্পূর্ণ অনুমোদনের পথে, উদ্বেগের অবসান?
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্স-এর তৈরি কোভিড-১৯ টিকা খুব শীঘ্রই পেতে পারে দেশটির খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) পূর্ণ অনুমোদন। সম্প্রতি, এই বিষয়ে এফডিএ-এর সঙ্গে আলোচনার পর এমনটাই জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নোভাভ্যাক্স-এর শেয়ারের দাম এক লাফে ২১ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
বর্তমানে, এই টিকাটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত। তবে, ফাইজার এবং মডার্নার মতো আরএনএ (mRNA) প্রযুক্তিনির্ভর টিকার মতো এটি এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ অনুমোদন পায়নি।
পূর্ণ অনুমোদন পেলে, নোভাভ্যাক্স-এর টিকা বাজারে আরও বেশিদিন ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
জানা গেছে, এফডিএ নোভাভ্যাক্সকে টিকা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এফডিএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং যত দ্রুত সম্ভব অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার শুরুতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল, যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
কারো কারো মতে, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এমনটা হতে পারে।
তবে, নোভাভ্যাক্স কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা দ্রুততম সময়ে কাজটি সম্পন্ন করতে চাইছে।
নোভাভ্যাক্স-এর টিকাটি তৈরি হয়েছে প্রোটিন-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
এই পদ্ধতিতে, ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের পরীক্ষাগারে তৈরি সংস্করণ ব্যবহার করা হয়।
এরপর এটিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপাদানগুলির সঙ্গে মিশিয়ে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়।
এই ধরনের টিকা আগে থেকেই হেপাটাইটিস বি এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা তৈরি হয়েছে mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
এই টিকাগুলো শরীরের কোষকে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের প্রতিলিপি তৈরি করতে নির্দেশনা দেয়, যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার টিকাদান কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নোভাভ্যাক্স-এর টিকার অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, এটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লড়াইয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস