নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে ৬ বছর বয়সী যমজ দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার, জুন মাসের ২২ তারিখে, রাজ্যের ওনেইডা কাউন্টির ক্লার্ক মিলস নামক এলাকায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে।
ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ছিল এতটাই বেশি যে, এর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি এবং গাছপালা।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, টর্নেডোর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার। এর ফলে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেইলি বিশনের বাড়ি, যেখানে তাঁর দুই মেয়ে, এমিলি এবং কেনি বসবাস করত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগেই পরিবারটি ওই ভাড়া বাড়িতে এসেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝড়ের সময় একটি বিশাল গাছ উপড়ে এসে বাড়িটির ওপর পড়ে। এতেই ঘরটির মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং মা কেইলি সহ তাঁর দুই মেয়ে আটকা পড়ে যায়।
ঘটনার পর কেইলিকে জানালা দিয়ে উদ্ধার করা গেলেও, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। উদ্ধারকর্মীরা এসে মেয়ে দুটিকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পান।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়। এমিলি এবং কেনি ক্লিন্টন এলিমেন্টারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের কমিউনিটিতে ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা আমাদের দুইজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।”
একই দিনে, শেলী জনসন নামের ৫০ বছর বয়সী এক নারীরও মৃত্যু হয়, যখন তাঁর বাড়ির ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে।
এই দুঃখজনক ঘটনায় শোকাহত পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি অনলাইন ফান্ডিং ক্যাম্পেইন খোলা হয়েছে। এই পর্যন্ত সেখানে প্রায় ২ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার বেশি (১ ডলার = ১১৮ টাকা হিসেবে) উঠেছে।
এলাকার মানুষজন তাঁদের ভালোবাসা ও সহানুভূতি জানাচ্ছে এবং নিহত শিশুদের স্মৃতিচারণ করে চলেছে। এমিলি এবং কেনিকে স্থানীয়রা তাঁদের হাসি-খুশি ও প্রাণবন্ত স্বভাবের জন্য ভালোবাসতেন।
খেলাধুলা, নাচ, এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁদের সরব উপস্থিতি ছিল।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ঘূর্ণিঝড় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধ্বংসাত্মক রূপ সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা অসহায়।
তথ্য সূত্র: পিপল