নিউ ইয়র্ক শহরে একটি পর্যটন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি)। গত ১০ই এপ্রিল হাডসন নদীর কাছে, যা নিউ জার্সির দিকে অবস্থিত, সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ৬ জন নিহত হন।
এনটিএসবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটিতে কোনো ‘ব্ল্যাক বক্স’ বা ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ছিল না। এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি না থাকায় দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের।
সাধারণত, এই ধরনের যন্ত্রে বিমানের বিভিন্ন কারিগরি তথ্য, যেমন – গতি, উচ্চতা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রেকর্ড করা থাকে, যা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সাহায্য করে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি নিউ ইয়র্ক হেলিকপ্টার চার্টার ইনকর্পোরেটেড (New York Helicopter Charter Inc.) নামক একটি কোম্পানির অধীনে ছিল। তারা ইতোমধ্যে হেলিকপ্টার পরিচালন সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি, নিয়মকানুন, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন।
এছাড়া, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একই ধরনের আরও দুটি হেলিকপ্টার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এনটিএসবি আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার দিন হেলিকপ্টারটি এর আগে সাতটি ভ্রমণ সম্পন্ন করেছিল। দুর্ঘটনার সময় এটি দিনের অষ্টম ফ্লাইট ছিল।
বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটির মডেল ছিল বেল-২০৬ এল-৪। গত ১লা মার্চ এটির বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছিল।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন পাইলট শন জনসন এবং স্পেনের একজন রেল অবকাঠামো বিভাগের প্রধান নির্বাহী, আগুস্তিন এসকোবার ও তার স্ত্রী মার্সি ক্যাম্পরুবি মন্টাল এবং তাদের তিনটি সন্তান।
বর্তমানে, ডুবুরিরা বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের বিভিন্ন অংশ উদ্ধারের কাজ করছেন। এর মধ্যে ককপিট, কেবিন, পেছনের দিকের অংশ, অনুভূমিক স্টেবিলাইজার এবং উল্লম্ব পাখনাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এই অংশগুলো আরও বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য ওয়াশিংটন ডিসি-র পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ডুবুরি দল রবিবার (১৩ই এপ্রিল) হেলিকপ্টারের প্রধান রোটার, গিয়ার বক্স এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে।
এছাড়াও, সোনার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষের সম্ভাব্য স্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর সঙ্গে সমন্বয় করে এনটিএসবি’র তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল