ওasis-এর গানের উন্মাদনা: বিশ্বজুড়ে ব্যান্ডদলগুলির গান গাওয়া।
নব্বইয়ের দশকে ‘ব্রিটিশ পপ’-এর জোয়ারে ভেসে আসা ব্যান্ড ও তাদের গান আজও সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ছিল ও ওসিস।
সম্প্রতি, তাদের পুনর্মিলন কনসার্টের ঘোষণার পরেই টিকিট নিয়ে হাহাকার লেগে যায়। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ওসিস-এর গান পরিবেশন করা ব্যান্ডগুলির কদর বেড়েছে, যা অনেকের কাছেই নতুন করে উন্মাদনা তৈরি করেছে।
ওসিস-এর গানগুলি এখনো সারা বিশ্বে জনপ্রিয়, তাই তাদের গান পরিবেশন করা ব্যান্ডগুলির চাহিদাও বাড়ছে। যুক্তরাজ্যে এদের সংখ্যা ৪০টির বেশি। শুধু তাই নয়, ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা ও জাপানেও এই ধরনের ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
সম্প্রতি, এই ব্যান্ডগুলি নিয়ে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তাদের কার্যক্রম ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
বেলজিয়ামের ‘মেইন রোড’ ব্যান্ড তৈরি হয় ২০১৮ সালে। ব্যান্ডের প্রধান ম্যাটিও টেরজি জানান, তিনি পেশায় একজন চকোলেট কারখানার কর্মী। ব্যান্ডের নাম রাখা হয়েছে ম্যানচেস্টারের ‘মেইন রোড’-এ ওসিস-এর কনসার্টের স্মৃতিকে ধরে রাখতে।
ফ্রান্সে ‘ওসিরিস’ নামে একটি ব্যান্ড তৈরি হয়েছে, যেখানে ১৯৯৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ফুটবলার এরিক ডি মেকোও যুক্ত আছেন।
কানাডার টরন্টোতে ‘পার্কলাইফ’ ব্যান্ডের সদস্য ডিনা জানান, তিনি নারী হয়েও লিয়াম গ্যালার-এর মতো কণ্ঠ দেওয়ার চেষ্টা করেন। দুবাইয়ে ‘ফক্স-ওসিস’ ব্যান্ডের ফিল হ্যারিসন জানান, তারা মূলত ব্রিটিশ প্রবাসীদের জন্য গান করেন।
তারা ওসিস-এর গান পরিবেশন করে পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন।
ইতালির মিলানে ‘দ্য বয়েজ ইন দ্য বাবল’ ব্যান্ড তৈরি হয়েছে তিনটি ওসিস কাভার ব্যান্ড ভেঙে যাওয়ার পরে। তারা সারা ইতালিতে গান করে বেড়ায়।
ইসরায়েলের ‘ওসিস্রায়েল’ ব্যান্ডের মাইকেল লিবম্যান জানান, তাদের প্রথম কনসার্ট হয়েছিল একটি শপিং মলে। তারা মূলত ওসিস-এর গান পরিবেশন করেন এবং তাদের পারফর্মেন্স দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে।
জাপানের ‘ও প্লাস আসিস’ ব্যান্ডের ওয়ানি শিনোহারা জানান, তিনি লিয়াম গ্যালারের মতো করে গান গাওয়ার চেষ্টা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ‘নোসিস’ ব্যান্ডের ড্যারেন স্পিবি জানান, তারা ১৯৯৫ সালে ডার্বিতে তাদের যাত্রা শুরু করেন। তবে, তাদের নামের কারণে যুক্তরাজ্যে অন্য একটি ব্যান্ডের সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে।
ওসিস-এর গানগুলি বিভিন্ন দেশে আজও একইভাবে জনপ্রিয়। তাদের গানগুলি এতটাই শক্তিশালী যে, বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের নিজেদের মতো করে পরিবেশন করে শ্রোতাদের মন জয় করে চলেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান