বারাক ওবামার আহ্বান: ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমেরিকান নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে। সম্প্রতি নিউইয়র্কের হ্যামিল্টন কলেজে এক বক্তৃতায় ওবামা এই কথা বলেন।
ওবামা তাঁর বক্তব্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া কিছু নীতির সমালোচনা করেন, যা তাঁর মতে, গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করতে পারে। তিনি বিশেষভাবে অর্থনৈতিক নীতি, বিশেষ করে নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টির উল্লেখ করেন। এছাড়াও, তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ করেন। ওবামা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে, যা তাদের শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতা খর্ব করে।
এর কারণ হিসেবে তিনি ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
ওবামা মনে করেন, বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে শুধু কোনো কিছুর পক্ষে কথা বললেই চলবে না, বরং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের নিজস্ব নীতি পর্যালোচনা করতে এবং সরকারি অনুদান হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন।
সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মতে, কর্পোরেট ল ফার্মগুলোর সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, ওই ফার্মগুলো হয়রানির শিকার হওয়া আইনজীবীদের হয়ে কাজ করছিল, অথবা তারা বর্তমান প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছিল। ওবামা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অতীতে এমন ঘটনা ঘটলে সম্ভবত একই দলগুলো নীরব থাকত না।
সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) অ্যাক্সেস সীমিত করার হোয়াইট হাউজের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ওবামা বলেন, এপি-র মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘গভ অফ আমেরিকা’ করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কারণেই এমনটা করা হয়েছে।
ওবামা তাঁর বক্তব্যে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকারের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিক, এমনকি সাধারণ মানুষও, এই বিষয়গুলোর সমর্থনে সোচ্চার হতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।