যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের বিভিন্ন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ভিন্নমত দমনের চেষ্টা, এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো বিষয়গুলো।
হ্যামিল্টন কলেজে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলিনি, তবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছি।” ট্রাম্পের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমি যদি এমন কিছু করতাম, তাহলে এখন যারা নীরব, তারা নিশ্চয়ই আমাকে এত সহজে ছাড় দিতো না।” এরপর তিনি ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন, এর ফল আমেরিকার জন্য ভালো হবে না।
ওবামা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন শ্বেত ভবনের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যদি তারা তাদের শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতা খর্ব করে। তিনি আরো বলেন, “আইন সংস্থাগুলোকে যদি শ্বেত ভবন বলে যে, তোমরা আমাদের অপছন্দনীয় কারো প্রতিনিধিত্ব করলে আমরা তোমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবো, তবে এটা আমেরিকার মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।”
অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসও ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের বিভিন্ন পদক্ষেপকে অপ্রত্যাশিত নয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমরা অনেক কিছুই জানতাম, যা ঘটবে।” লিডিং উইমেন ডিফাইন্ড সামিটে দেওয়া বক্তব্যে হ্যারিস স্বীকার করেন, ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের ফলে “ভীতির সঞ্চার হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা দেখছি বিভিন্ন সংগঠন চুপ করে যাচ্ছে, এবং সংবিধানবিরোধী হুমকির কাছে নতি স্বীকার করছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।”
এছাড়াও, সম্প্রতি ট্রাম্প একটি আইন সংস্থার সাথে চুক্তি করেছেন, যেখানে সংস্থাটি তার দ্বিতীয় মেয়াদে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে।
উল্লেখ্য, কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগ এমহফ এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। এমহফ এই প্রসঙ্গে বলেন, “আইনের শাসন আজ হুমকির সম্মুখীন, গণতন্ত্রও আক্রান্ত। তাই আমরা আইনজীবীরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে যা যা করা সম্ভব, তাই করব।”
কমলা হ্যারিস তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ভয় সংক্রামক। যখন একজন ব্যক্তি ভীত হয়, তখন তার আশেপাশের লোকদের মধ্যেও সেই ভয় ছড়িয়ে যায়। তবে, আমি এও বলতে চাই, সাহসও সংক্রামক।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন