আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে, মানুষের সঙ্গে হাঙরের এক ভিন্ন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন ওশেন র্যামসে। পেশাদার ডুবুরি এবং সমুদ্র বিষয়ক পরিবেশবিদ র্যামসের কাজ নিয়ে তৈরি হয়েছে নেটফ্লিক্সের নতুন তথ্যচিত্র ‘শার্ক হুইস্পারার’।
এই ডকুমেণ্টারিতে হাঙরের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগের এক বিরল অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
ডকুমেন্টারিতে র্যামসে তাঁর একটি বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, যেখানে তিনি একটি হাঙরের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং তার নাকে হাত রেখেছিলেন। র্যামসে বলেন, “আমি যদি হাতটা বাড়িয়ে দিই, তাহলে সে যা করে, তার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেব।”
এই ঘটনার মাধ্যমে হাঙরদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন তিনি। তথ্যচিত্রটিতে হাঙরের আচরণ এবং তাদের অনুভূতি সম্পর্কে র্যামসের গভীর উপলব্ধির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি মনে করেন, হাঙরদের নেতিবাচক ধারণা দূর করে তাদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো উচিত।
“শার্ক হুইস্পারার” -এর নির্মাতারা হলেন জে.পি. স্টাইলস, হ্যারিসন ম্যাকস এবং অস্কারজয়ী পরিচালক জেমস রিড। র্যামসে জানান, হাঙরদের সঙ্গে মানুষের সহাবস্থান সম্ভব। মানুষের উচিত তাদের সম্পর্কে ভীতি দূর করে তাদের সংরক্ষণে এগিয়ে আসা।
র্যামসের মতে, হাঙর একটি শিকারী প্রাণী, তাই তাদের সেই ভূমিকাটিকে বুঝতে হবে।
সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা ও সংরক্ষণে র্যামসের আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম দিকে হাঙরের সঙ্গে ডুব দেওয়ার সময় অনেক কিছু নিজে থেকেই শিখেছেন।
যেমন, তাদের আশেপাশে শান্ত থাকতে হয়, যাতে তারা ভয় না পায়। র্যামসে তাঁর সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে এই বিষয়ে নিয়মিত পোস্ট করেন, যা তাঁর অনুসারীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
এই তথ্যচিত্রটি পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র হুমকির মুখে।
আমাদের দেশের সুন্দরবন সহ উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব বাড়ছে। তাই, র্যামসের এই কাজ আমাদের সকলের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয়। তাঁর মূল লক্ষ্য হল, মানুষ এবং হাঙরের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা, যা সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। ‘শার্ক হুইস্পারার’ আগামী ৩০শে জুন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে।
তথ্য সূত্র: পিপল
