অষ্টোপাস! : আট-পায়ের বিস্ময়কর জগতের একalokচিত্র
সাগরের গভীরে বসবাসকারী অক্টোপাস বা আট-পায়ী প্রাণী নিয়ে নির্মিত একটি নতুন প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে, যার নাম ‘অক্টোপাস!’।
অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে এই বিশেষ আকর্ষণীয় কাজটি। মানুষের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগতের বাসিন্দা, এই অক্টোপাসরা।
তাদের জীবনযাত্রা, বুদ্ধি, বিচিত্র আচরণ—সবকিছুই যেন এক রহস্য। আর এই রহস্য উন্মোচনের এক দারুণ চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
এই ডকুফিলামটির মূল আকর্ষণ হলো এর অসাধারণ দৃশ্যগুলো।
সমুদ্রের গভীরে, আট-পায়ী এই প্রাণীদের জীবনযাত্রা ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে অত্যন্ত নিপুণভাবে।
তাদের শিকার করা, খেলাধুলা, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া—সব কিছুই যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে।
শুধু দৃশ্য নয়, এই ডকুফিলামটিতে অক্টোপাসের জীবনচক্র, বিবর্তন এবং তাদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা—এসব বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে।
অক্টোপাসের জগৎ নিয়ে বলতে গিয়ে এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল এদের ‘বোকা’ প্রাণী হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
এরপর ধীরে ধীরে মানুষের মনে এদের সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ে।
বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্র, সাহিত্য এবং লোককথায় অক্টোপাসকে ভিলেন হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে, এমনকি তারা ‘ক্রাকেন’-এর মতো সমুদ্র দানবের রূপেও পরিচিত হয়েছে।
তবে ১৯৭২ সালে জাক কুস্তোর একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তা এবং তাদের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে।
ডকুমেন্টারিটিতে উঠে এসেছে অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তার নানা দিক।
তারা পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে, জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করছেন, যা সত্যিই অবাক করার মতো।
ডকুমেন্টারির ভাষ্যকার হিসেবে রয়েছেন জনপ্রিয় একজন, যিনি মাঝে মাঝে দর্শকদের সঙ্গে মজার ছলে কথা বলেন।
তবে মূল আকর্ষণ হলো মেরিন বায়োলজিস্ট ড. জেনি হফমিস্টার এবং বিহেভিয়ারাল ইколоজিস্ট পিয়েরো আমোদিও’র মতো বিশেষজ্ঞদের মতামত।
তাদের গভীর জ্ঞান এবং বিষয়টির প্রতি ভালোবাসাই এই প্রামাণ্যচিত্রটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
সব মিলিয়ে, ‘অক্টোপাস!’ দর্শকদের জন্য একটি শিক্ষামূলক এবং উপভোগ্য অভিজ্ঞতা।
যারা সমুদ্র এবং সেখানকার প্রাণীদের ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই প্রামাণ্যচিত্রটি একটি দারুণ সুযোগ।
তথ্য সূত্র: The Guardian