“ওহ, হাই!” – আধুনিক সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে হাস্যকর এক সিনেমা
আজকাল সম্পর্কের ধারণা যেন কেমন বদলে গেছে। ডেটিং অ্যাপস-এর দৌলতে সম্পর্কের শুরুটা হয়, আর সেখানে তৈরি হয় নানা জটিলতা।
সেই সব জটিলতা আর আধুনিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সিনেমা ‘ওহ, হাই!’।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সোফি ব্রুকস। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মলি গর্ডন এবং লোগান লেয়ারম্যান।
গল্পের শুরুটা বেশ সাদামাটা। আইরিস (মলি গর্ডন) এবং আইজ্যাকের (লোগান লেরম্যান) সম্পর্কের কয়েক মাস হয়েছে। তারা একটি সুন্দর বাড়িতে একসঙ্গে ছুটি কাটাতে যায়।
তাদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা, খুনসুটি—সবই ছিল। কিন্তু এর পরেই গল্প মোড় নেয় অন্য দিকে।
তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের মধ্যে তৈরি হয় দ্বিধা। আইরিস জানতে চায়, তারা কি সত্যিই “বিশেষ” নাকি তাদের মধ্যেকার সম্পর্কটা কেবল বন্ধুত্বের পর্যায়েই সীমাবদ্ধ?
কিন্তু আইজ্যাকের ধারণা ছিল, তারা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এরপর ঘটে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা—আইরিস, আইজ্যাককে বিছানায় বেঁধে ফেলে এবং তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চায়।
এই ঘটনার পর সম্পর্কের সংজ্ঞা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় চরম বিতর্ক। এই সিনেমার গল্প আসলে আধুনিক সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরে।
নারী-পুরুষের মধ্যেকার চিরাচরিত ধারণাগুলো, সম্পর্কের জটিলতা, এবং একে অপরের প্রতি ভুল বোঝাবুঝি—এসব বিষয় বেশ কৌতুকপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবিতে আইরিসের চরিত্রে মলি গর্ডনের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
তবে, সিনেমার গল্প যখন আইরিসের বন্ধু ম্যাক্স (জেরাল্ডিন ভিসওয়ানাথন) এবং তার প্রেমিক কেনির (জন রেইনল্ডস) আগমন ঘটায়, তখন যেন একটু তাল কাটে। গল্পের গভীরতা কমে আসে, এবং হাস্যরসটা একটু বেশি মনে হয়।
সব মিলিয়ে, ‘ওহ, হাই!’ সিনেমাটি সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে একটি মজাদার ছবি। যারা সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং আধুনিক ডেটিংয়ের সমস্যাগুলো নিয়ে হাসতে ভালোবাসেন, তাদের ভালো লাগবে।
সিনেমাটি কিছুটা অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়, যা দর্শককে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধরে রাখে।
সিনেমাটি “আর” রেটিংপ্রাপ্ত, অর্থাৎ এতে ভাষা, যৌন বিষয়বস্তু এবং কিছু নগ্নতার দৃশ্য রয়েছে। ছবিটির দৈর্ঘ্য ৯৪ মিনিট।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস