১৬ বছরের কিশোর সেজে স্কুলে! অতঃপর…

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে, এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, নিজেকে ১৬ বছর বয়সী কিশোর হিসাবে পরিচয় দিয়ে একটি হাই স্কুলে ভর্তি হওয়ার অভিযোগে ২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম হলো অ্যান্থনি ইমানুয়েল ল্যাব্রাডর সিয়েরা।

পেরিসবার্গ শহরের পুলিশ বিভাগ গত ১৯শে মে, সোমবার তাকে জালিয়াতির অভিযোগে আটক করে।

জানা গেছে, ল্যাব্রাডর সিয়েরা, যিনি নিজেকে ভেনেজুয়েলার অভিবাসী এবং গৃহহীন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন, প্রথমে ২০২৩ সালের নভেম্বরে পেরিসবার্গ স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি দেশ ছেড়েছেন।

এরপর, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি পেরিসবার্গ হাই স্কুলে ভর্তি হন। ভর্তির সময় তিনি জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেন, যেখানে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা ছিল ২০০৭ সালের ২রা ডিসেম্বর।

এর মাধ্যমে তিনি একটি ড্রাইভার্স লাইসেন্স ও সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরও সংগ্রহ করেন। এমনকি তিনি অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতিও পান।

তবে, ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন ইভলিন ক্যামাচো নামের এক নারী অভিযোগ করেন যে ল্যাব্রাডর আসলে তার সন্তানের বাবা এবং তার বয়স ২৪ বছর।

ক্যামাচো, ল্যাব্রাডরের একটি ছবিসহ বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন করেন, যেখানে তাকে একটি শিশুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল। এছাড়াও, তিনি ল্যাব্রাডরের ড্রাইভার্স লাইসেন্সের একটি ছবি দেখান, যেখানে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা ছিল ২০০১ সালের ২৭শে মার্চ।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করে এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তদন্তে জানা যায়, ল্যাব্রাডর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।

অবশেষে, ১৯শে মে, সোমবার, পুলিশ ল্যাব্রাডরকে গ্রেপ্তার করে।

পেরিসবার্গ স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট টম হসলার এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা, ল্যাব্রাডরকে একজন অসহায় কিশোর মনে করে, মানবিকতার খাতিরে সাহায্য করেছিলেন। এই ঘটনা তাদের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত হেনেছে।

ল্যাব্রাডর অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আদালতে শুনানির জন্য আগামী ২৯শে মে তারিখে তাকে পেরিসবার্গ আদালতে হাজির করা হবে।

তথ্যসূত্র: অন্যান্য গণমাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *