অস্ত্রোপচারের পর প্রথম! কেমন ছিল ওহ তানির বোলিং?

বেসবল বিশ্বে পরিচিত নাম, জাপানের তারকা খেলোয়াড় শো‌হে‌ই ওতানি। লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্সের এই খেলোয়াড় বর্তমানে তাঁর কনুইয়ের অস্ত্রোপচার পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি তিনি আবারও মাঠে ফিরেছেন, এবং তাঁর খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত সমর্থকেরা। খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর ফেরাটা যেন আরও একবার নতুন করে শুরু।

গত রবিবার নিউইয়র্কের সিটি ফিল্ডে ওতানিকে দেখা যায়, যেখানে তিনি তাঁর অস্ত্রোপচারের পর প্রথমবারের মতো ব্যাটসম্যানদের মুখোমুখি হন।

এই অনুশীলন ছিল লাইভ ব্যাটিং প্র্যাকটিসের একটি অংশ, যেখানে তিনি মোট ২২টি বল করেন। তাঁর ছোড়া বলের গতি ছিল ঘন্টায় ৯৪ থেকে ৯৭ মাইল পর্যন্ত। এই পারফরম্যান্স দেখে স্পষ্ট যে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং আবারও মাঠে ফিরতে প্রস্তুত।

অনুশীলনে ওতানির সতীর্থ এবং কোচেরা উপস্থিত ছিলেন। ডজার্সের ম্যানেজার ডেভ রবার্টস এই বিষয়ে বলেন, “আমরা সবাই খুবই আনন্দিত।”

ওতানির বোলিং কোচ মার্ক প্রাইয়র জানান, ওতানি তাঁর সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, যার মধ্যে ছিল ফাস্টবল, সিঙ্কার, কাটার, এবং আরও অনেক কিছু। প্রাইয়রের মতে, ওতানির বলের গতি ছিল খুবই ভালো।

ওতানি নিজেও জানান, তিনি ৯৬-৯৭ মাইল গতিতে বল করতে চাননি, তবে এই গতিতে বল করতে পারাটা তাঁর জন্য ভালো একটা দিক।

অনুশীলনের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর ওতানি একটি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি লিড-অফ হোম রান করেন। এই বছর এটি তাঁর ১৮তম হোম রান, যা মেজর লিগে সর্বোচ্চ।

ওতানির এই অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রমাণ করে যে তিনি শুধু একজন ভালো বোলারই নন, বরং একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যানও।

গত বছর ওতানি লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্সের সাথে ১০ বছরের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেন। ২০১৯ সালে তিনি টমি জন সার্জারি করান, এবং ২০২৩ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর তাঁর কনুইয়ে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার হয়।

সাধারণত, এই ধরনের অস্ত্রোপচারের পর খেলোয়াড়দের মাঠে ফিরতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। তবে ওতানির দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা এবং মাঠে ফেরার আগ্রহ সত্যিই প্রশংসনীয়।

ওতানির প্রত্যাবর্তনের দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁর ভক্তরা। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে, অল-স্টার ব্রেকের পর আবার মাঠে নামতে পারেন। তাঁর এই ফিরে আসা শুধু ডজার্স দলের জন্য নয়, বরং পুরো বেসবল বিশ্বের জন্যই একটি দারুণ খবর।

খেলোয়াড় হিসেবে ওতানির এই ফিরে আসা তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *