বিখ্যাত ফুড সমালোচক ম্যারিলিন হ্যাগার্টী-র প্রয়াণ, ৯৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড ফর্কস হেরাল্ড পত্রিকার কলামিস্ট ম্যারিলিন হ্যাগার্টী, যিনি স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর রিভিউ লিখে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছিলেন, ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (সম্ভাব্যত) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মেয়ে গেইল হ্যাগার্টী জানিয়েছেন, স্ট্রোকের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
ম্যারিলিন হ্যাগার্টী ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক। খাদ্য ও জীবনযাত্রা বিষয়ক তাঁর ‘ইটবিট’ কলাম ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়।
২০১৩ সালে, তাঁর লেখা একটি ‘অলিভ গার্ডেন’ রেস্তোরাঁর রিভিউ ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে। এই রিভিউ-তে তিনি রেস্টুরেন্টটির চিকেন আলফ্রেদোর প্রশংসা করেছিলেন।
তাঁর এই সরল ও আন্তরিক মূল্যায়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে। তাঁর লেখার ধরন ছিল খুবই সাধারণ, যা পাঠকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিল।
হ্যাগার্টীর মেয়ে গেইল জানান, তাঁর মা ছিলেন একজন “সাংবাদিক”।
তিনি সবসময় খাদ্য এবং জীবনযাত্রার ওপর পাঠকদের জন্য একটি নিরপেক্ষ ধারণা দিতে চেয়েছেন।
খ্যাতি পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, “যদি ১৫ মিনিটের জন্য খ্যাতি পাওয়ার সুযোগ থাকে, তবে সেটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা উচিত। কারণ, আমার বয়স তখন ৮৬।”
এই ঘটনার পর, বিশ্ববিখ্যাত শেফ ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অ্যান্থনি বুরেইন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
যারা হ্যাগার্টীকে তাঁর লেখার জন্য উপহাস করেছিলেন, বুরেইন তাঁদের তীব্র সমালোচনা করেন।
বুরেইন পরে হ্যাগার্টীর কলামগুলি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন এবং সেটির মুখবন্ধও লেখেন।
১৯২৬ সালের ৩০ মে সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহনকারী হ্যাগার্টী, হাই স্কুল জীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন।
সাউথ ডাকোটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭০ সাল থেকে তিনি গ্র্যান্ড ফর্কস হেরাল্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত লিখতেন।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল।
২০০২ সালে তাঁর সম্মানে একটি উত্তোলন কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছিল।
তাঁর প্রয়াণে সাংবাদিকতা জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস