লন্ডনের ওয়ান ক্লাব রো: পুরনো দিনের স্মৃতি, মজাদার খাবার আর উষ্ণ পরিবেশ!

লন্ডনের অভিজাত এলাকা শোরডিচে, ‘ওয়ান ক্লাব রো’ নামের একটি রেস্তোরাঁ সম্প্রতি বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। নব্বই দশকের নস্টালজিয়াকে উপজীব্য করে গড়া এই রেস্তোরাঁটি তার ভিন্নধর্মী পরিবেশ ও মেনুর জন্য খাদ্যরসিকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

এটি মূলত একটি পাব-এর উপরে অবস্থিত, যেখানে ক্লাসিক ককটেল, ঝিনুক এবং বিভিন্ন ধরণের খাদ্য পরিবেশন করা হয়।

রেস্তোরাঁটির ভেতরের সাজসজ্জা বেশ আকর্ষণীয়। হালকা আলো, কাঠের আসবাবপত্র এবং পুরনো দিনের গানের আবহ তৈরি করে এক বিশেষ পরিবেশ। যারা নব্বইয়ের দশকে ‘নাইট লাইফ’-এর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন, তাদের কাছে এই পরিবেশ নস্টালজিক মনে হতে পারে।

রেস্তোরাঁর মেনুতে ক্লাসিক খাবারের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে। এখানে পাওয়া যায় সুস্বাদু স্টেক টারটার, টুনা ক্রুডোর মতো বিশেষ পদ। এছাড়াও, শেফ প্যাট্রিক পাওয়েলের হাতের তৈরি খাবারগুলোর মধ্যে লবস্টার ও হ্যাম দিয়ে তৈরি ক্রোকেট, রসুন বাটারে ভাজা স্ক্যালপ এবং পেঁয়াজের স্যুপ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

‘ওয়ান ক্লাব রো’ -এর মেনুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ককটেল, যার মধ্যে ক্লাসিক মার্টিনি, ফ্রেঞ্চ মার্টিনি এবং অলিভ অয়েল মার্টিনি উল্লেখযোগ্য।

খাবারের মান নিয়ে কোনো আপস করা হয় না। মেনুতে উপলব্ধ অন্যান্য পদগুলির মধ্যে রয়েছে – বার্গার, ফিশ কেক, পাস্তা, এবং বিভিন্ন ধরণের সি-ফুড।

ডেজার্ট হিসেবে ব্লুবেরি, চ্যান্টিলি ক্রিম এবং ম্যাপেল সিরাপের সাথে পরিবেশিত ডাচ বেবি (ইয়র্কশায়ার পুডিং)-র স্বাদ ভোলার মতো নয়।

রেস্তোরাঁটির নিচে ‘দ্য নাইভ অফ ক্লাবস’ নামে একটি পাব রয়েছে, যেখানে কুকুরদেরও প্রবেশাধিকার আছে। এখানে সাধারণ পাবের খাবার পাওয়া যায় এবং একটি আরামদায়ক পরিবেশ বিদ্যমান।

খরচের হিসাব করলে, তিনজন মানুষের জন্য পানীয় ও সার্ভিস চার্জ বাদে জনপ্রতি প্রায় ৫০ পাউন্ড খরচ হতে পারে। রেস্তোরাঁটি মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সন্ধ্যা ৫:৩০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

যারা ভিন্ন স্বাদের খাবার ও নস্টালজিক পরিবেশ উপভোগ করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ‘ওয়ান ক্লাব রো’ একটি আদর্শ জায়গা। এখানে খাবারের গুণগত মান, পরিবেশ এবং আতিথেয়তা – সবকিছুই বিশেষভাবে উপভোগ করার মতো।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *