ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তে তেলের বাজারে আগুন?

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের উৎপাদন বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট, ওপেক প্লাস। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের বাজারে কেমন প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।

ওপেক প্লাস-এর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে দৈনিক প্রায় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়াবে।

ওপেক প্লাস মূলত ১০টি তেল উৎপাদনকারী দেশের একটি জোট, যেখানে রাশিয়া এবং কাজাখস্তানের মতো দেশগুলোও অন্তর্ভুক্ত। বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ এবং দামের ওপর এই জোটের সিদ্ধান্তগুলোর যথেষ্ট প্রভাব থাকে।

জানা গেছে রাশিয়া থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই ওপেক প্লাস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চাপ দিচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওপেক প্লাস-এর এই উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পেছনে বাজার দখলের একটা কৌশল কাজ করছে। কারণ, বাজারে তেলের চাহিদা এখনো বেশ ভালো রয়েছে।

বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ৭০ ডলারের কাছাকাছি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭,৩০০ টাকার সমান (প্রতি ডলার ১০৪ টাকা ধরে)। এপ্রিল মাসে এই দাম ছিল ৫৮ ডলারের কাছাকাছি।

ওপেক প্লাস-এর এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের বাজারে তেলের দামে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনই বলা কঠিন। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে, তার সরাসরি প্রভাব আমাদের দেশের জ্বালানি তেলের বাজারেও পড়ে।

এতে পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বাড়তে পারে। সরকার অবশ্য আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়টি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করে থাকে।

আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর ওপেক প্লাস-এর সদস্য দেশগুলোর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে তারা তেলের উৎপাদন আরও কমানো যায় কিনা, সে বিষয়ে আলোচনা করতে পারে।

যদি এমনটা হয়, তাহলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *