OpenAI-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) স্যাম অল্টম্যান সম্প্রতি তার প্রথম সন্তানের বাবা হয়েছেন। এই ঘটনা তার জীবনে এনেছে এক বিরাট পরিবর্তন, যা তিনি “নিউরোক্যামিক্যালি হ্যাকড” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা এই ব্যক্তির এমন উপলব্ধির কথা এখন প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচনার বিষয়।
গত ২২শে ফেব্রুয়ারি, অল্টম্যান তার সন্তানের জন্মের খবর জানান। তিনি জানান, সন্তান জন্মগ্রহণের পর তিনি “নিউরোক্যামিক্যাল পরিবর্তন” অনুভব করেছেন, যা তার অগ্রাধিকারগুলোকে সম্পূর্ণভাবে নতুন করে সাজিয়েছে।
তিনি মনে করেন, এই পরিবর্তনের ফলে তিনি OpenAI এবং বিশেষ করে ChatGPT-এর মাধ্যমে মানবতার জন্য আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
স্যাম অল্টম্যানের কোম্পানি OpenAI, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তাদের তৈরি করা ChatGPT, মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাষায় কথা বলতে এবং তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক চ্যাটবট।
এই প্রযুক্তি শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং ব্যবসার জগতে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে। তবে, এর নেতিবাচক দিকগুলো নিয়েও অনেক আলোচনা চলছে।
কারণ, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নৈতিকতা, ডেটা সুরক্ষা এবং কর্মসংস্থান হারানোর মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
অল্টম্যান মনে করেন, একজন বাবা হিসেবে তিনি এখন এই বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। সন্তানের জন্ম তাকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করেছে এবং AI-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর চিন্তা করতে সাহায্য করছে।
তিনি বলেন, “আমি চেয়েছিলাম সবকিছু ঠিকভাবে করতে। এখনো চাই, কিন্তু কিভাবে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব, জানি না।”
২০২৪ সালে, সফটওয়্যার প্রকৌশলী অলিভার মুলহেরিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন স্যাম অল্টম্যান।
বর্তমানে তার আনুমানিক সম্পদের পরিমাণ ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার সমান।
প্রসঙ্গত, স্যাম অল্টম্যান ২০১৩ সালে ‘Y Combinator’-এর প্রেসিডেন্ট পদ ত্যাগ করেন এবং এর আগে তিনি ‘Loopt’ নামের একটি সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন, যা ২০১২ সালে ৪৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়।
এছাড়াও, ২০২৩ সালে তিনি অল্প সময়ের জন্য OpenAI থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন, তবে পরে আবার ফিরে আসেন।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তি বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং ব্যবসার উন্নতির জন্য এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা অনেক।
স্যাম অল্টম্যানের এই উপলব্ধি, প্রযুক্তি বিশ্বে নৈতিকতা এবং মানুষের কল্যাণে AI ব্যবহারের গুরুত্বকে আরও একবার সামনে নিয়ে আসে। ভবিষ্যতে, বাংলাদেশের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও সচেতনতা এবং গবেষণা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: পিপল