বিশ্বকে চমকে: সংযুক্ত আরব আমিরাতে AI অবকাঠামো বানাচ্ছে ওপেনএআই ও এনভিডিয়া!

বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির অগ্রগতি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও এই দৌড়ে শামিল হয়েছে।

সম্প্রতি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানী আবুধাবিতে ‘স্টারগেট ইউএই’ নামে একটি বিশাল এআই অবকাঠামো তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে।

এই প্রকল্পে ওপেনএআই এবং এনভিডিয়ার মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা বিনিয়োগ করছে।

**আবুধাবিতে এআই-এর নতুন দিগন্ত**

আবুধাবিতে নির্মিতব্য এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো, একটি শক্তিশালী এআই ক্লাস্টার তৈরি করা, যা উন্নত কম্পিউটিং ক্ষমতা সরবরাহ করবে।

এই প্রকল্পের প্রথম ধাপ ২০২৬ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এআই ক্লাস্টার তৈরি করা হবে।

এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে, যেখানে একই ধরনের এআই অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

এই প্রকল্পের জন্য ওপেনএআই, সফটব্যাঙ্ক এবং ওরাকলের প্রধান নির্বাহীরা মিলে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।

ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, এই প্রকল্পটি নিরাপদ ঔষধ তৈরি, ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা এবং আধুনিক শক্তি ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনগুলোকে আরও বেশি জায়গায় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অংশের জন্য এআই অবকাঠামো এবং কম্পিউটিং সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং বলেছেন, এই প্রকল্প ইউএই-এর মানুষের ক্ষমতায়ন, অর্থনীতির উন্নতি এবং ভবিষ্যতের রূপ দিতে সাহায্য করবে।

জি৪২ নামক একটি স্থানীয় কোম্পানি এই অবকাঠামো তৈরি করবে এবং ওপেনএআই ও ওরাকল এটি পরিচালনা করবে।

এনভিডিয়া তাদের অত্যাধুনিক চিপ সরবরাহ করবে।

আবুধাবিতে এই ডেটা সেন্টার কমপ্লেক্সটি তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে ৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে।

এই বিশাল ডেটা সেন্টারটি প্রায় ১০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হবে।

**বাংলাদেশের জন্য সুযোগ?**

এআই প্রযুক্তির এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

উন্নত দেশগুলোতে এর প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান।

এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।

সম্ভবত, এটি বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং এআই গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।

বাংলাদেশের প্রকৌশলী ও গবেষকরা এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

আশা করা যায়, বিশ্বজুড়ে এআই-এর এই অগ্রযাত্রা বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে, যেখানে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্নয়নে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *