শিরোনাম: সফটব্যাঙ্কের বিশাল বিনিয়োগ, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) গবেষণায় নতুন দিগন্তের সূচনা
বিশ্বজুড়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। সম্প্রতি, ChatGPT নির্মাতা প্রতিষ্ঠান OpenAI-এর সাথে জাপানের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সফটব্যাঙ্ক (SoftBank)-এর একটি চুক্তি হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে, সফটব্যাঙ্ক OpenAI-এ প্রায় $40 বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী) বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এই বিনিয়োগের ফলে OpenAI-এর বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় $300 বিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকা)। এটি একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য পুঁজি সংগ্রহের বৃহত্তম রেকর্ড।
শুরুতে সফটব্যাঙ্ক প্রায় $10 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এরপর কিছু শর্ত পূরণ হলে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ আরও $30 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য হলো আর্টিফিসিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (AGI) বা সাধারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং আর্টিফিসিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স (ASI) বা অতি-উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ও উন্নয়নকে আরও গতিশীল করা। এই দুটি ধারণাই ভবিষ্যতের AI প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক।
এই বিনিয়োগের ফলে OpenAI আরও বেশি শক্তিশালী হবে এবং AI প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে OpenAI-এর ChatGPT-এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
কোম্পানিটি তাদের ইমেজ জেনারেশন (image generation) ফিচার যুক্ত করার পর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে, OpenAI-এর এই সাফল্যের মাঝে, তারা ওপেন সোর্স মডেলের দিকেও ঝুঁকছে। কারণ, বাজারে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন Meta এবং DeepSeek-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যেই ওপেন সোর্স AI মডেল তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে ডাউনলোড এবং পরিবর্তন করতে পারে।
ওপেন সোর্স মডেলের ধারণা হলো, যে কেউ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবে। এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃহৎ কর্পোরেশন এবং সরকারগুলো এখন এমন AI মডেল চাইছে, যা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে তারা নিশ্চিত থাকতে পারবে।
OpenAI-এর এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, AI প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের দেশে বিভিন্ন খাতে, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং কৃষিতে, নতুন উদ্ভাবন আনতে পারে।
AI-এর সহজলভ্যতা বাড়লে স্থানীয় উদ্যোক্তারাও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন সমাধান তৈরি করতে পারবে, যা দেশের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian