মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গ প্রতিস্থাপন পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগ (HHS) এই পদ্ধতির সংস্কারের ঘোষণা করেছে, যেখানে জীবন রক্ষার পরিবর্তে কিছু ক্ষেত্রে লাভের দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এক তদন্তে জানা গেছে, জীবিত রোগীদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য। রোগীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ফেডারেল সরকারের নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
সেই সঙ্গে, অঙ্গ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোকে ডেটা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর নিয়ম মানতে হবে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে, যা আগে সম্ভব ছিল না।
এই সংস্কারের অংশ হিসেবে, একটি স্বাধীন ‘অর্গান প্রোকিউরমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টেশন নেটওয়ার্ক (OPTN)’ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডে প্রতিস্থাপন সার্জন, জীবিত অঙ্গদাতা, অঙ্গগ্রহীতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
এছাড়াও, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই পদ্ধতির আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। এর ফলে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা বাড়বে এবং আরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন পদ্ধতি একটি নির্দিষ্ট সংস্থার নিয়ন্ত্রণে ছিল, যার ফলে সংস্কারের পথে বাধা আসছিল। কিন্তু এখন সবকিছু নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
এই পরিবর্তনের ফলে, রোগীদের হয়রানি বন্ধ হবে এবং অঙ্গদান সম্পর্কে মানুষের আস্থা বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে। আমাদের দেশেও অঙ্গ প্রতিস্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং এখানেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।
উন্নত বিশ্বে কীভাবে এই ধরনের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা হয়, তা জানা থাকলে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: সিএনএন