ভবিষ্যতের স্বপ্ন! ওসাকা এক্সপো: যুদ্ধের মাঝে শান্তির বার্তা!

ওসাকা, জাপান – ২০২৩ সালের বিশ্ব প্রদর্শনী (Expo 2025) শুরু হলো জাপানের ওসাকা শহরে। ভবিষ্যতের প্রযুক্তির এক ঝলক নিয়ে আসা এই প্রদর্শনীতে ১৫০টির বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে।

যুদ্ধ, বিভেদ আর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের এই সময়ে বিশ্বকে এক সূত্রে গাঁথার বার্তা নিয়ে এসেছে এই আয়োজন।

“আমাদের জীবনের জন্য একটি ভবিষ্যৎ সমাজ তৈরি করা” – এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইয়ুমেশিমা দ্বীপে (Yumeshima) বসেছে এই বিশ্ব আসর।

ওসাকা উপসাগরের এই কৃত্রিম দ্বীপটি এক সময় শিল্পবর্জ্য ফেলার স্থান ছিল। এখানে বিভিন্ন দেশের অত্যাধুনিক প্যাভিলিয়নে (pavilion) স্থান পেয়েছে নানা উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও ভবিষ্যতের সমাজের ধারণা।

১৯৭০ সালে ওসাকা শহরে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব প্রদর্শনী (Expo) ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেবার প্রায় ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিল, যা একটি রেকর্ড ছিল।

২০২৩ সালের প্রদর্শনীতে প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে টিকিট বিক্রি কিছুটা ধীর গতিতে চলছে।

প্রদর্শনীটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা – সব মিলিয়ে একটা উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

জাপানের কর্মকর্তারা মনে করেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে এই প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং বিভেদ কমাতে সাহায্য করবে।

প্রদর্শনীতে একটি বিশেষ আকর্ষণ হলো বিশাল আকারের “গ্র্যান্ড রিং”।

স্থপতি সো ফুজিমোটো (Sou Fujimoto) এই কাঠামোটি ডিজাইন করেছেন। এটি বিশ্বের বৃহত্তম কাঠের তৈরি স্থাপত্যগুলির মধ্যে অন্যতম।

প্রায় ২ কিলোমিটার পরিধির এই আংটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩৫ বিলিয়ন ইয়েন (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা)।

প্রদর্শনীতে প্রযুক্তির চমক হিসেবে থাকছে উড়ন্ত গাড়ি ও রোবট প্রদর্শনী।

এছাড়াও, জনপ্রিয় সংস্কৃতি যেমন – হ্যালো কিটি (Hello Kitty) এবং গান্ডামের (Gundam) মতো চরিত্রগুলোও দর্শকদের আকৃষ্ট করছে।

বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়নের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাভিলিয়নে স্থান পেয়েছে অ্যাপোলো-১২ মিশনের চাঁদের পাথর।

এছাড়া, ইউক্রেন তাদের প্যাভিলিয়নে যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং তাদের পুনর্গঠন প্রচেষ্টা তুলে ধরছে।

প্রদর্শনী কর্তৃপক্ষের মতে, “মায়াকু-মায়াকু” নামের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও কিছুটা আবেগপ্রবণ চরিত্র এই প্রদর্শনীর প্রতীক।

নীল মুখের ওপর লাল বলের উপস্থিতি এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *