যুদ্ধ-বিভেদের মাঝে, ওসাকা এক্সপো’তে শান্তির বার্তা!

বিশ্বজুড়ে বিভেদ আর অস্থিরতার মধ্যে, ঐক্যের বার্তা নিয়ে জাপানে শুরু হলো ওসাকা বিশ্ব প্রদর্শনী (Expo)। রবিবার (স্থানীয় সময়) আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়।

ভবিষ্যতের পৃথিবী এবং জীবনযাত্রার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের অঙ্গীকার নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীতে প্রায় ১৮০টি দেশ, অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নিচ্ছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে।

ওসাকার ইয়ুমেশিমা দ্বীপে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রদর্শনীতে জীবন, জগৎ এবং ভবিষ্যৎ – এই তিনটি মূল বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকারের কাঠের কাঠামো ‘গ্র্যান্ড রিং’, যা বিশ্ববাসীর মধ্যেকার সংযোগের প্রতীক হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।

২২ মিটার উঁচু এবং ২ কিলোমিটার পরিধির এই কাঠামোর নির্মাণে বিশাল খরচ হয়েছে, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

তবে, আয়োজকরা আশা করছেন, এটি সবার কাছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে।

১৯৭০ সালের বিশ্ব প্রদর্শনীতে ওসাকা শহর বিপুল সংখ্যক দর্শকের আগমন দেখেছিল।

সেবার প্রায় ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিল।

এবার টিকিটের দাম বেশি হওয়ায় এবং নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দর্শক সংখ্যা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে।

যদিও কর্তৃপক্ষ আশা করছে, প্রায় ২৮ কোটির বেশি মানুষ এবারের প্রদর্শনীতে আসবে।

প্রদর্শনীতে উন্নত প্রযুক্তির সম্ভার এবং বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি প্রদর্শিত হবে।

বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়নগুলোতে তাদের উদ্ভাবনী ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরা হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে।

এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা এখনো নিশ্চিত না হলেও, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এখানে অনেক কিছু শেখার এবং জানার সুযোগ রয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে এবারের প্রদর্শনী কিছুটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক—এসব কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এমতাবস্থায়, ওসাকা এক্সপো-র আয়োজকরা আশা করছেন, এই প্রদর্শনী বিশ্বকে আবার কাছাকাছি আনবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *