আউটব্যাক হার: কেন আমেরিকানরা আর স্টেক ভালোবাসে না?

যুক্তরাষ্ট্রে একটি জনপ্রিয় স্টেকহাউস চেইন, আউটব্যাক-এর ব্যবসার অবনতি ঘটছে। নব্বইয়ের দশকে এর যাত্রা শুরু হলেও, বর্তমানে তারা প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারছে না। এর প্রধান কারণ হিসেবে জানা গেছে, ভোক্তাদের রুচি পরিবর্তন এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারা।

এক সময়ের জনপ্রিয় এই রেস্তোরাঁটি এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

আউটব্যাকের এই পতনের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক গ্রাহক অন্য বিকল্পের দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া, প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন টেক্সাস রোডহাউস এবং লংহর্ন, তাদের গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার ও মেনু নিয়ে আসছে।

টেক্সাস রোডহাউস তাদের মেনুর দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখায় গ্রাহকদের কাছে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে লংহর্ন, তাদের মেনুতে বড় আকারের স্টেক যুক্ত করে ভোক্তাদের মন জয় করেছে। এই দুইটি চেইন-এর ব্যবসা বর্তমানে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।

আউটব্যাকের দুর্বলতার আরেকটি কারণ হলো, তারা তাদের মেনুর মান বজায় রাখতে পারেনি। কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং রেস্টুরেন্টের পরিবেশেও পরিবর্তন এসেছে, যা গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই কারণে, অনেক গ্রাহক এখন আউটব্যাকের পরিবর্তে অন্য রেস্টুরেন্টগুলোতে যেতে পছন্দ করেন।

আউটব্যাকের এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নতুন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তারা মেনু ছোট করার পাশাপাশি নিয়মিত অফারগুলোও সীমিত করতে চাইছে। এছাড়াও, রেস্টুরেন্টগুলোর সংস্কারের দিকেও তারা মনোযোগ দিচ্ছে।

নতুন এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে, আউটব্যাক আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তবে, এই পরিবর্তনের ফলে তারা কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলবে। খাদ্য ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে, বাজারের চাহিদা এবং ভোক্তাদের রুচি অনুযায়ী পরিবর্তন আনা অপরিহার্য।

উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি চিলিস-এর ঘুরে দাঁড়ানো একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও চিকেন টেন্ডারের রেসিপি পরিবর্তন, কম দাম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারের ফলে, চিলিস-এর বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

আউটব্যাকও যদি এই ধরনের কৌশল গ্রহণ করতে পারে, তাহলে তাদের ঘুরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

আউটব্যাকের এই অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবসার জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে। বাজারে টিকে থাকতে হলে, পণ্যের গুণমান, দাম এবং গ্রাহক সেবার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

একইসঙ্গে, বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যবসার কৌশল তৈরি করতে হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *