২০ বছর পর লাইব্রেরিতে বই ফেরত, ক্ষমা চাইলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী!

**অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর ২০ বছর পর বই ফেরত, ক্ষমা চাইলেন হাতে লেখা চিঠিতে**

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যিনি প্রায় দুই দশক আগে লাইব্রেরি থেকে ধার করা তিনটি বই ফেরত দিয়েছেন। বইগুলোর সঙ্গে ছিল একটি হাতে লেখা ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি।

খবরটি সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজ, লেডি মার্গারেট হল (Lady Margaret Hall – LMH), তাদের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বইগুলো এবং শিক্ষার্থীর লেখা চিঠিটির ছবি প্রকাশ করে।

চিঠিতে লেখা ছিল, “প্রিয় লাইব্রেরিয়ান, কিছু বই এবং বাক্স গোছানোর সময় আমি জানতে পারি যে, আমি অজান্তে ২০ বছর ধরে এই তিনটি বই আমার কাছে রেখে দিয়েছি।

আমাকে ক্ষমা করবেন!”

লেডি মার্গারেট হলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, “দেরিতে হলেও, ফিরে আসাতে আমরা খুশি! বইগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

আমরা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।”

জানা গেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কলেজেই এখনো বই ফেরত দিতে দেরি হলে জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে।

যদিও এই শিক্ষার্থীর জরিমানা করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

তবে, লেডি মার্গারেট হলে বই ফেরত দিতে দেরি হলে প্রত্যেক বইয়ের জন্য ১০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে, যা বাংলাদেশি টাকায় (১ পাউন্ড = ১৩২ টাকা হিসাবে) প্রায় ১৩২০ টাকার সমান।

লাইব্রেরির বই ফেরত দেওয়ার এমন ঘটনা বিরল হলেও, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি লাইব্রেরিতে ৯৯ বছর পর একটি বই ফেরত এসেছিল।

বইটি ১৯২৬ সালে ধার করা হয়েছিল এবং ২০২১ সালে ৮১ বছর বয়সী এক নারী তাঁর দাদার হয়ে বইটি ফেরত দেন।

বাংলাদেশেও পাঠাগার এবং বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে।

পাঠকদের মধ্যে বই ধার করে সময় মতো ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *