পায়েজ ডি’সোরবো, যিনি আমেরিকান রিয়েলিটি টিভি সিরিজ ‘সামার হাউস’-এর পরিচিত মুখ, সম্প্রতি তার প্রাক্তন প্রেমিক ক্রেইগ কনোভারের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন। ৩২ বছর বয়সী পায়েজ বর্তমানে নিজের কর্মজীবনের ওপর বেশি মনোযোগ দিতে চান। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনলাইনে অনেকে তাকে সমালোচনা করলেও, তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
ডিসেম্বরের শেষে, পায়েজ তার ‘গিগলি স্কোয়াড’ নামের পডকাস্টে তাদের বিচ্ছেদের খবর জানান। তারা প্রায় তিন বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। পায়েজ এখন তার ক্যারিয়ারের দিকে মনোনিবেশ করতে চান, যার মধ্যে তার নতুন বই ‘হাউ টু গিগল: আ গাইড টু টেকিং লাইফ লেস সিরিয়াসলি’-র প্রকাশনাও রয়েছে।
এই বইটি তিনি তার বন্ধু এবং সহ-উপস্থাপক হান্না বার্নারের সঙ্গে লিখেছেন।
পায়েজের মতে, তার এই সিদ্ধান্তের জন্য অনলাইনে যে ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য আসছে, তার কারণ তিনি বুঝতে পারেন না। তিনি বলেন, যদি কোনো ৩২ বছর বয়সী পুরুষ তার ক্যারিয়ারের ওপর মনোযোগ দিতে চাইতেন, তবে সবাই বলত, ‘ছেলেটির ভালো ভবিষ্যৎ আছে’।
কিন্তু যখন একজন নারী এই ধরনের কথা বলেন, তখন যেন সবাই অবাক হয়ে যায়।
বিচ্ছেদের পর ক্রেইগ কনোভার, যিনি ‘সাউদার্ন চার্ম’ নামক টিভি সিরিজের একজন তারকা, জানিয়েছেন যে তিনি পায়েজের জন্য একটি আংটি কিনেছিলেন এবং তারা একসঙ্গে বসবাস করার জন্য সাউথ ক্যারোলিনা থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
পায়েজ মনে করেন, তার বিচ্ছেদ নিয়ে যারা বেশি সমালোচনা করছেন, তাদের বেশিরভাগই প্রবীণ মহিলা এবং তিনি তাদের মানসিকতা বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, সম্ভবত তারা এমন একটি সময়ে বড় হয়েছেন, যখন নারীদের নিজস্ব মতামত প্রকাশের সুযোগ কম ছিল।
পায়েজের মতে, তার প্রজন্মের নারীরা তাদের নিজস্ব চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করতে শিখেছেন এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিচ্ছেন।
পায়েজের মতে, অনলাইনে তার বিচ্ছেদ নিয়ে হওয়া আলোচনা তাকে আরও স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে। তিনি বলেন, তিনি চান তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোনো দ্বিধা ছাড়াই তাদের জীবন নিজেদের মতো করে বেছে নিক।
পায়েজ আরও জানান, একসময় তিনি ৩০ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করে সন্তান ধারণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এখন তিনি তার ক্যারিয়ারকে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
তথ্য সূত্র: পিপল