পাকিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে গিয়ে ১৬ জন সশস্ত্র বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে, আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২২ ও ২৩শে মার্চের রাতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় ওই বিদ্রোহীরা নিহত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রম করে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয় পাকিস্তানি সেনারা। পাকিস্তান সরকার বারবার আফগান কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর নজরদারি বাড়াতে বলেছে।
তাদের অভিযোগ, আফগানিস্তান সরকার তাদের সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
সম্প্রতি, পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি সাদিক খান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দিনের সফরে কাবুলে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলো।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তান ও তাদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। পাকিস্তান সরকার সরাসরি আফগান তালেবানকে দায়ী করে বলছে, তারা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
টিটিপি হলো একটি জঙ্গি সংগঠন, যারা ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কয়েকশ হামলা চালিয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই, টিটিপি’র হামলায় পাকিস্তানে ৫০০-এর বেশি ঘটনা ঘটেছে এবং এতে ১,৫০০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে।
আফগান তালেবান টিটিপি’র সহযোগী হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তান সরকার প্রায়ই অভিযোগ করে আসছে যে, টিটিপি’র সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে আশ্রয় নেয় এবং সেখান থেকেই তারা পাকিস্তানে হামলা চালায়।
যদিও, তালেবান সরকার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা