যুদ্ধ-বিধ্বস্ত কাশ্মীরে উত্তেজনা: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত তীব্র।
ইসলামাবাদ, পাকিস্তান – ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার অভিযোগ এনেছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান “অপারেশন বুনিয়ান মারসোস” নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে, যার লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলো। এর আগে, ভারতও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছিল।
গত কয়েকদিনে কাশ্মীর সহ একাধিক অঞ্চলে দু’পক্ষের মধ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। উভয় দেশই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ এনেছে।
পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে, যার জবাবে তারা এই অভিযান শুরু করেছে। অন্যদিকে, ভারতের দাবি, তারা কেবল আত্মরক্ষা করছে এবং পাকিস্তানের উস্কানির জবাব দিচ্ছে।
উভয়পক্ষের মধ্যে এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের সামরিক অভিযান “বুনিয়ান মারসোস”-এর মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের অন্তত ছয়টি সামরিক ঘাঁটি। এই অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় ভারতও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।
উভয় দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হেনেছে।
সংঘাতের সূত্রপাত হয় গত ৭ই মে, যখন ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। ভারত দাবি করে, তারা “সন্ত্রাসী অবকাঠামো” ধ্বংস করেছে এবং প্রায় “১০০ জন সন্ত্রাসী”কে নির্মূল করেছে।
এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল “অপারেশন সিন্ধুর”। অন্যদিকে পাকিস্তান জানায়, ভারতীয় হামলায় তাদের অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও ছিল।
এরপরে, ১০ই মে তারিখে পাকিস্তান “অপারেশন বুনিয়ান মারসোস” শুরু করে। এই অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় ভারতও পাল্টা হামলা চালায়।
উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে আকাশপথে আক্রমণ চালিয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছানো জরুরি। কারণ, এই সংঘাত দীর্ঘকাল চললে তা উভয় দেশের জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে তা পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমন করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা