যুদ্ধ থামানোয় ট্রাম্পকে নোবেল? পাকিস্তানের প্রস্তাবে বিশ্বজুড়ে আলোচনা!

পাকিস্তানের প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পাকিস্তান। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ‘কৌশলগত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের’ কারণেই এই মনোনয়ন।

মে মাসে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্ত অঞ্চলে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করেছিল, যা ১৯৭১ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে। উভয় দেশই কাশ্মীর অঞ্চলের উপর পূর্ণ সার্বভৌমত্বের দাবি করে।

এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সরকার ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে জানায়, তিনি ‘উভয় দেশের সঙ্গেই শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব’ দিয়েছেন।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “ট্রাম্প এই অঞ্চলের শান্তি রক্ষায় একজন সত্যিকারের শান্তিরক্ষক হিসেবে নিজের ভূমিকা রেখেছেন এবং সংলাপের মাধ্যমে সংঘাত নিরসনে সহায়তা করেছেন।” তারা মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে বৃহত্তর সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে, যা অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারতো।

তবে, এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান ছিল কিছুটা ভিন্ন। যদিও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি গঠনে হোয়াইট হাউসের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করা হয়েছে, তবে ভারত এটিকে সরাসরি তাদের বিজয় হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছে।

বর্তমানে, মধ্যপ্রাচ্যেও যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ১৩ই জুন ইরানের উপর ব্যাপক হামলা চালায়, যার ফলশ্রুতিতে তেহরান পাল্টা আক্রমণ করে।

এই ঘটনায় ইতোমধ্যে উভয়পক্ষে ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল সরকার বলছে, তাদের অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে।

ট্রাম্প অবশ্য এর আগেও নিজেকে বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তবে, তিনি বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন যে, ভারত-পাকিস্তান কিংবা ইসরায়েল-ইরানের মতো সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখলেও সম্ভবত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা তার কম।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *