ফিলিস্তিনের অজানা শহরে?

ফিলিস্তিনের শহরগুলি: ইতিহাস, সংস্কৃতি আর বর্তমান প্রেক্ষাপট। ফিলিস্তিন – নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক বেদনাবিধুর ইতিহাস, যা যুগ যুগ ধরে সংঘাত আর প্রতিরোধের গল্প বলে চলেছে।

আজকের এই লেখায় আমরা ফিলিস্তিনের কয়েকটি প্রধান শহরের সঙ্গে পরিচিত হব, শহরগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব, সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের দেশের পাঠকদের জন্য এই শহরগুলোর কথা জানা খুবই জরুরি, কারণ ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে, তাদের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন রয়েছে।

প্রথমেই আসা যাক জেরুজালেম (আল-কুদস) শহরের কথায়। এটি শুধু ফিলিস্তিনের নয়, বরং বিশ্বজুড়ে তিনটি প্রধান একেশ্বরবাদী ধর্মের – ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম ও ইহুদি ধর্মের – কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।

মুসলমানদের কাছে আল-আকসা মসজিদ এবং ডোম অব দ্য রক-এর পবিত্রতা অনেক। অন্যদিকে, ইহুদিদের কাছে এটি তাদের প্রাচীন মন্দিরগুলির স্থান। এখানকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম, যা শহরটিকে করে তুলেছে সংস্কৃতি আর ইতিহাসের এক জীবন্ত সংগ্রহশালা।

এরপর আমরা আলোচনা করব গাজা শহরের কথা। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত এই শহরটি ফিলিস্তিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানকার মানুষজন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করে, তাদের জীবনযাত্রা প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়।

গাজার সংস্কৃতি, খাদ্য এবং জীবনযাত্রার ধরন এখানকার মানুষকে বাঁচতে শিখিয়েছে।

পশ্চিম তীরে অবস্থিত রামাল্লাহ শহরটি ফিলিস্তিনের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানকার আধুনিক জীবনযাত্রা ও ঐতিহ্য একসাথে মিশে আছে। রামাল্লাহে ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক আলোচনা সবসময় বিদ্যমান।

বেথলেহেম (বাইজ ল্যাহম) শহরটি খ্রিস্টানদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত চার্চ অব দ্য নেটিভিটি অবস্থিত। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে এই শহর।

নাবলুস (নাবলুস) শহরটি পশ্চিম তীরে অবস্থিত, যা তার ঐতিহ্যবাহী বাজারের জন্য বিখ্যাত। এখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এখানকার মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

জেরিকো (আরিহা) একটি প্রাচীন শহর, যা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসাবে পরিচিত। এই শহরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক।

হিব্রন (আল-খালিল) শহরটি মুসলিম ও ইহুদি উভয় সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত। এখানে ইব্রাহিম (আ.)-এর মাজার অবস্থিত।

ফিলিস্তিনের এই শহরগুলো শুধু কয়েকটি স্থানের নাম নয়, বরং এগুলো একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা, তাদের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। এখানকার মানুষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং তাদের প্রতিরোধের গল্প আমাদের অনেক কিছু শেখায়।

ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে, এবং তাদের ন্যায়সংগত অধিকারের জন্য আমরা সবসময় সোচ্চার থাকব।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *