প্রকাশ্যে ‘অন্তর্বাস’! কেন বাড়ছে এই ফ্যাশন?

পোশাকবিহীন পোশাকে ফ্যাশন দুনিয়ায় ঝড়: অন্তর্বাস এখন বাইরের সাজ!

বিশ্ব ফ্যাশন জগতে প্রায়ই এমন কিছু ঘটনার জন্ম হয় যা আলোচনার ঝড় তোলে। সম্প্রতি তেমনই একটি ট্রেন্ড চোখে পড়েছে, যেখানে তারকারা সাধারণ পোশাকের বদলে অন্তর্বাস পরিধান করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এই পোশাকের ধারণাটি ‘ডে-নিকর’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

মেট গালা-র মঞ্চে এই ফ্যাশনের ঝলক দেখা গেছে।

সঙ্গীতশিল্পী সাবরিনা কার্পেন্টার এবং অভিনেত্রী লিসা’র মতো তারকারা লুই ভিতোঁর তৈরি করা বিশেষভাবে সজ্জিত পোশাক পরেছিলেন। কার্পেন্টার একটি কফি রঙের বডিস্যুট পরেছিলেন, আর লিসার পোশাকে ছিল উজ্জ্বল রঙের অন্তর্বাস, যাতে শিল্পী হেনরি টেলরের প্রতিকৃতি খোদাই করা ছিল।

শুধু তাই নয়, ‘উইকেড’ সিনেমার সিনথিয়া এরিভো’কে দেখা গেছে কালো রঙের একটি গাউনের নিচে হট প্যান্ট পরে।

অভিনেত্রী তারাজি পি হেনসন এসেছিলেন একটি মাইক্রো-ড্রেসে, যা তাঁর শরীরকে সামান্য ঢেকে রেখেছিল। মডেল হেইলি বিবারও তাঁর পোশাকে ব্লেজার-এর সঙ্গে অন্তর্বাস যুক্ত করেছিলেন।

ফ্যাশন ইতিহাসে এর আগেও এমন পোশাকের চল দেখা গেছে।

ষাটের দশকে নারীদের পোশাকে পরিবর্তনের একটি বড় প্রভাব ছিল। সে সময়ে অভিনেত্রী এডি সেজউইক-এর একটি ছবি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল, যেখানে তাঁকে জগার, জালযুক্ত মোজা এবং কালো রঙের অন্তর্বাসে দেখা যায়।

এই পোশাক সেই সময়ের সংস্কৃতিতে ভিন্নতা এনেছিল।

ফ্যাশন বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পোশাক বর্তমান সময়ে নারীদের ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। কারণ, এটি তাদের আত্মবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।

শরীরচর্চা এবং সুঠাম শরীর এখন অনেক নারীর কাছে গর্বের বিষয়।

তবে, এই ট্রেন্ড নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হয়েছে।

কেউ কেউ এটিকে ফ্যাশনের নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকের কাছে এটি কিছুটা অপ্রত্যাশিত। কেউ কেউ মনে করেন, সমাজের রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে এটি একটি প্রতিবাদ।

তবে, ফ্যাশন সবসময়ই পরিবর্তনের পথে চলে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রুচি এবং পোশাকের ধারণাতেও পরিবর্তন আসে। ‘ডে-নিকর’ ট্রেন্ড সেই পরিবর্তনেরই একটি উদাহরণ, যা ফ্যাশন দুনিয়ায় নতুন আলোচনা জন্ম দিয়েছে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *