পিৎজার জন্য কান্না: মিশেলিন রেস্তোরাঁয় ৩ বছরের শিশুর ভাইরাল কাণ্ড!

শিরোনাম: ইতালির নামী রেস্টুরেন্টে ‘পিৎজা’র আবদার, ভাইরাল হওয়া ৩ বছরের শিশুর গল্প

ফ্লোরেন্সের একটি নামকরা, মিচেলিন-তারা চিহ্নিত রেস্টুরেন্টে বসে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর কান্নার দৃশ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কারণ? তার চাই ‘পাপা জনস’ পিৎজা!

ড্যাকোটা ওয়াইল্ডস নামের ওই নারীর ছেলে ইন্ডি-র এই ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, যা এরই মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ বারের বেশি দেখা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইন্ডি নামের শিশুটি একটি পিৎজা-র সামনে বসে আছে, কিন্তু তার মন ভরেনি। সে কেঁদে কেঁদে বলছে, “এটা তো পাপা জনস না!”

মা ড্যাকোটা জানান, তাদের পরিবারের কাছে পাপা জনস পিৎজা-র অন্যরকম একটা গুরুত্ব রয়েছে। তারা মূলত আমেরিকার বাসিন্দা, তবে বর্তমানে বাবার চাকরির সূত্রে জার্মানির বাভারিয়াতে বসবাস করছেন।

ড্যাকোটা আরও বলেন, তার স্বামীর সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে তাদের প্রায়ই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। তাদের পরিবারের জন্য পরিচিত এই পিৎজা তাই এক ধরণের নস্টালজিক অনুভূতি নিয়ে আসে।

আমেরিকায় থাকতে তারা প্রায়ই একসঙ্গে বসে পাপা জনস পিৎজা খেতেন এবং সিনেমা দেখতেন, যা তাদের সন্তানদের জন্য ছিল এক বিশেষ আনন্দময় মুহূর্ত। বর্তমানে বিদেশে থাকার কারণে সেই স্মৃতিগুলো তাদের কাছে আরও মূল্যবান।

ইতালিতে ভ্রমণের সময় এই ঘটনাটি ঘটে। দীর্ঘ ভ্রমণের পর সবাই যখন ক্লান্ত ছিল, তখন তারা একটি ভালো রেস্টুরেন্ট খুঁজছিলেন। ঘটনাক্রমে তারা একটি মিচেলিন-তারা চিহ্নিত পিৎজা রেস্টুরেন্টে যান।

ড্যাকোটা বলেন, “আমার ছেলে ইন্ডি ক্লান্ত ছিল, আর আমরা সবাই একটা ভালো পরিবারের মতো সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। এমন একটা পরিবেশে আমাদের সন্তানদের নিয়ে যাওয়াটা আমার কাছে দারুণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল, তাই আমি সেই মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দী করি।”

ভাইরাল হওয়ার পর, পিৎজা প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘পাপা জনস’-এর সাথে তাদের যোগাযোগ হয়েছে এবং তারা বিশেষ কিছু করার পরিকল্পনা করছে। ড্যাকোটা জানান, তারা যেহেতু বর্তমানে ইউরোপে বসবাস করছেন, তাই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একটু সময় লাগছে।

সামরিক পরিবারের জীবনযাত্রা বেশ কঠিন। প্রতি দু’বছর পর পর তাদের নতুন জায়গায় যেতে হয়, যা শিশুদের জন্য এক ধরণের অনিশ্চয়তা নিয়ে আসে। ড্যাকোটা মনে করেন, পরিচিত একটি খাবারের স্বাদ, যেমন পাপা জনস, তাদের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি যোগায়।

বাইরের দুনিয়া ঘুরে দেখা ভালো, তবে কিছু জিনিস আছে যা আমাদের শিকড়ের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তাদের জন্য পিৎজা তেমনই একটি বিষয়, যা কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদের মনে শান্তির ছোঁয়া দেয়।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *