বিয়ে বন্ধ! ছেলের প্রেমিকার ‘ফাঁদ’ ফাঁস, আর্থিক সাহায্য বন্ধ করলেন বাবা-মা

বরং বিয়ে ভেঙে দেওয়ার উপক্রম! ছেলের বাগদত্তা ‘বিশ্বস্ততা যাচাই’-এর নামে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাতে বিয়ের খরচ দিতে রাজি নন বাবা-মা। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

জানা গেছে, ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছে কয়েক মাস আগে। কিন্তু বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার মাঝেই এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার জেরে ছেলের বাবা-মা বিয়ের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ছেলে তার বাবা-মাকে জানায়, সে নাকি ‘Tinder’ নামক একটি ডেটিং অ্যাপে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলত। ছেলের এই কথা শুনে তারা অবাক হয়ে যান। কারণ হিসেবে তারা বলেন, যখন বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, তখন অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

কিন্তু আসল ঘটনা ছিল আরও গুরুতর। জানা যায়, Tinder-এ ছেলেটির সঙ্গে যে মেয়েটি কথা বলত, সে আসলে তারই বাগদত্তা। তিনি একটি ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তার প্রেমিকের ‘আস্থা’ যাচাই করতে চেয়েছিলেন। আর সেখানেই বাঁধে গণ্ডগোল।

ছেলেটির বাবা-মা জানিয়েছেন, ছেলের এই কাজটি অবশ্যই ভুল ছিল, তবে বাগদত্তার এমন ‘ফাঁদ’ পাতাটাও তাদের পছন্দ হয়নি। তাদের মতে, যদি ভালোবাসার মানুষটিকে বিশ্বাস করার জন্য এমন ‘স্টিং অপারেশন’-এর’ প্রয়োজন হয়, তাহলে হয়তো তাদের বিয়ে করা উচিত নয়।

ছেলে এবং বাগদত্তার এই কাণ্ডকারখানার পর ছেলের বাবা-মা সাফ জানিয়ে দেন, তারা বিয়ের খরচ দেবেন না। তাদের বক্তব্য, যে বিয়ে মিথ্যা ও প্রতারণা দিয়ে শুরু হয়, সেই বিয়েতে তারা কোনোভাবেই সমর্থন জানাতে চান না।

তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ছেলের বাবা-মা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন এবং এতে ছেলে ও ছেলের বাগদত্তা দুজনেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অন্য মানুষের মতামত জানতে, ছেলের বাবা-মা সম্প্রতি ‘Reddit’-এর একটি জনপ্রিয় ফোরামে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জনের মন্তব্যে জানা যায়, অনেকেই মনে করেন, বিয়ের জন্য তারা (ছেলে ও বাগদত্তা) এখনো প্রস্তুত নয়। তাদের সম্পর্কের মধ্যে গভীর আস্থার অভাব রয়েছে।

অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন, বাগদত্তা তার প্রেমিকের অনলাইন আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তার সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ ছিল। কারণ, যখন বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, তখন একজন পুরুষের Tinder-এর মতো ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করার কোনো মানে হয় না।

এই ঘটনার পর অনেকে বলছেন, ছেলের বাবা-মা বিয়ের খরচ বন্ধ করে দিয়ে কোনো ভুল করেননি। তাদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে তাদের বিয়ে করা উচিত নয়।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *