শনিবারের সূর্যগ্রহণে আকাশের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব

আকাশে বিরল দৃশ্যের সাক্ষী, শনিবার দেখা গেল আংশিক সূর্যগ্রহণ।

শনিবার, পৃথিবীর অনেক স্থানে দেখা গেল এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। চাঁদ, সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয় আংশিক সূর্যগ্রহণের।

ইউরোপ, গ্রিনল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা এবং নিউফাউন্ডল্যান্ড সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন, তবে মেঘের কারণে অনেকেরই পুরো গ্রহণ দেখার সৌভাগ্য হয়নি। জানা গেছে, কোনো কোনো স্থানে সূর্যের এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত চাঁদের আড়ালে ঢেকে গিয়েছিল।

সূর্যগ্রহণ একটি অসাধারণ ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে এসে সূর্যের আলো আংশিকভাবে অথবা সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দেয়। এই সময়, চাঁদ, সূর্য এবং পৃথিবী একটি সরলরেখায় আসে না বলেই গ্রহণের সময় সূর্যের একটি অংশ ঢাকা থাকে। এটিই আংশিক সূর্যগ্রহণ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইউরোপে পরবর্তী আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে সম্ভবত ২০২৬ সালের ১২ই আগস্ট। সেই সময় সূর্যের ৮০ শতাংশের বেশি ঢেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, পুরো সূর্যগ্রহণ, যেখানে চাঁদ সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে ঢেকে দেয়, তা এই অঞ্চলে আবার দেখা যেতে এখনো অনেক দেরি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরনের দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০৮১ সাল পর্যন্ত।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে, চাঁদের জন্য সূর্যের আলো সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর কিছু অংশে পৌঁছাতে পারে না, ফলে সেই স্থানগুলোতে দিনের বেলাতেও রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো অত্যন্ত ক্ষতিকর। গ্রহণ দেখার সময় অবশ্যই বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপের মতো যন্ত্র ব্যবহার করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিরাপদ উপায়ে গ্রহণ দেখার জন্য বিশেষ চশমা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মহাকাশ প্রেমীদের জন্য এমন দৃশ্য সত্যিই আনন্দের। ভবিষ্যতে, বাংলাদেশ থেকেও এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা দেখা যেতে পারে।

সেক্ষেত্রে, আমাদের বিশেষভাবে তৈরি থাকতে হবে, যাতে আমরা এই অসাধারণ দৃশ্যগুলি নিরাপদে উপভোগ করতে পারি। সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য, আপনারা স্থানীয় বিজ্ঞান ক্লাব বা জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোর সাহায্য নিতে পারেন।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *