যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের একটি জলপ্রপাতে পরে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত তরুণ, গ্রান্ট হেরিডজ, টেক্সাসের একটি চার্চের পাদ্রী ব্র্যাড হেরিডজের ছেলে।
সম্প্রতি হাই স্কুল পাশ করার পর বন্ধুদের সঙ্গে দেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, গত ৮ই জুন অলিম্পিক ন্যাশনাল পার্কের সোল ডাক জলপ্রপাতের কাছাকাছি পাথর দিয়ে হাঁটার সময় পা পিছলে নিচে পরে যান গ্রান্ট। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পানির নিচে তলিয়ে যান।
পরে উদ্ধারকর্মীরা তার মরদেহ খুঁজে বের করে।
খবর পাওয়ার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে হেরিডজ পরিবারে। টেক্সাসের ওকার ব্রাদারেন চার্চের পাদ্রী ব্র্যাড হেরিডজ তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, “গ্রান্ট এমন একটি কাজ করতে ভালোবাসতেন, যা তিনি করতে গিয়েছিলেন – অলিম্পিক ন্যাশনাল পার্কে ভ্রমণ।
একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা তাকে হারিয়েছি।” শোক প্রকাশ করে তিনি আরও লেখেন, “আমরা সবসময় তাকে ভালোবাসব এবং তার স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখব।
গ্রান্টের বাবা-মা দুজনেই জানান, তাদের ছেলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে ভালোবাসতেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রমেও তার বেশ আগ্রহ ছিল।
এই বছরই তার টেক্সাসের ভাইগগার্ড কলেজ প্রিপ্রারেটরি স্কুল থেকে হাই স্কুল শেষ করার কথা ছিল।
এরপর তিনি তার বাবা-মায়ের মতো বায়েলার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
গ্রান্টের অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে বায়েলার ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, তারা তার নামে একটি বৃত্তি চালু করতে যাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে আরও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
এছাড়া, স্কুলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, গ্রান্ট ছিলেন তাদের কাছে “আলোর দিশারী”।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন গ্রান্টের বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকরা।
গ্রান্টের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তাদের বন্ধু সবসময় হাসিখুশি থাকতেন এবং অন্যদের ভালো রাখতে চেষ্টা করতেন।
তার একটি উক্তি এখনো অনেকের মনে গেঁথে আছে, “জীবনকে হাসিমুখে গ্রহণ করো, জীবনও তোমার দিকে হাসবে।
তথ্য সূত্র: পিপল
