শিরোনাম: ভ্রমণের নেশায় মজে কমেডিয়ান: হোটেল থেকে প্যারিস, অভিজ্ঞতার ঝাঁপি
বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আগ্রহ বাড়ছে, আর সেই আগ্রহের ঢেউ লেগেছে আমাদের দেশেও। মানুষের জীবনে ভ্রমণের গুরুত্ব এখন অনেক বেশি।
এই ভ্রমণের আনন্দ আর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন খ্যাতনামা কমেডিয়ান এবং লেখক প্যাট্রিক রেগান। ‘ট্রাভেল + লেজার’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর ভ্রমণের নানা দিক।
প্যাট্রিক রেগান, যিনি পেশাগত জীবনে কমেডি এবং লেখার সঙ্গে যুক্ত, তাঁর মতে, ভ্রমণের মজাই আলাদা। হোটেলের পরিবেশ তাঁর কল্পনাশক্তির খোরাক জোগায়।
তাঁর নতুন কাজ, ‘ডব্লিউ হোটেলস’-এর জন্য তৈরি ‘হোটেল টেলস’ সিরিজেও ভ্রমণের এই দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে অভিনেত্রী ক্লোয়ে সেভিগনি, শিল্পী মিরান্ডা মাকারফ এবং কমেডিয়ান জিওয়ের মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
রেগানের মতে, এই কাজগুলো মূলত বিভিন্ন মানুষের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরে।
নিজের ব্যক্তিগত ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে রেগান জানান, তিনি সবসময়ই নতুন শহর ঘুরে দেখতে ভালোবাসেন। একসময় তিনি প্রচুর দৌড়তেন, এমনকি সপ্তাহে প্রায় নব্বই মাইল দৌড়ানোর রেকর্ডও ছিল তাঁর।
শহরের আনাচে-কানাচে দৌড়ানোর সময় তিনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতেন, জলের কাছাকাছি বা খোলা জায়গায় দৌড়ানোর জন্য পথ খুঁজে নিতেন। তাঁর ভ্রমণের তালিকায় ডাবলিন, লন্ডনের হ্যাকনি এবং অস্টিনের মত জায়গাগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তবে, জীবনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে। এখন তিনি দৌড়ের বদলে শরীরচর্চায় বেশি মনোযোগ দেন। রেগানের মতে, মানুষের সঙ্গে মিশে গল্প করাটাও ভ্রমণের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিনি বিভিন্ন দোকানে কাজ করা মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে ভালোবাসেন, কারণ তাঁদের অভিজ্ঞতা অনেক।
ভ্রমণের সময় প্রেম নিয়েও তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। একবার ইউরোপ ভ্রমণে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে তাঁর বেশ কিছু মজার অভিজ্ঞতা হয়। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর এক পর্যায়ে তাঁর মনে হয়েছিল যেন তিনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন।
এমনকী, প্যারিসে ১২ ঘণ্টার জন্য গিয়ে সেখানকার রাতের জীবন উপভোগ করার সুযোগও হয় তাঁর।
ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রেগান বলেন, ভ্রমণের আনন্দটাই আসল। তাঁর ছোটবেলায় ভ্রমণের সুযোগ কম হলেও এখন তিনি সেই সুযোগটা কাজে লাগান।
অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ইউরোপের আরও কিছু জায়গা তাঁর ভ্রমণের তালিকায় রয়েছে। রেগানের মতে, ভ্রমণ আমাদের জগৎটাকে আরও ছোট করে দেয় এবং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে গড়ে তোলে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল + লেজার