প্যাট্রিসিয়া ক্লার্কসন: নারী শ্রমিকদের সমান বেতন পেলে সবার জয়

অভিনেত্রী প্যাট্রিসিয়া ক্লার্কসন, যিনি আসন্ন একটি চলচ্চিত্রে প্রয়াত কর্মী লিলি লেডবেটারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য দূরীকরণে সোচ্চার হয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নারীদের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ক্লার্কসন মনে করেন, এক্ষেত্রে নারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানো উচিত।

“লিলি” নামের এই চলচ্চিত্রে, ক্লার্কসন লিলি লেডবেটারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ছিলেন একজন সাধারণ নারী, যিনি তার কর্মক্ষেত্রে বেতন বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি টায়ার প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কাজ শুরু করার পর, তিনি বুঝতে পারেন যে তার পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় তাকে কম বেতন দেওয়া হচ্ছে।

এর প্রতিকার চেয়ে তিনি আইনি লড়াই শুরু করেন এবং একসময় প্রায় ৪০ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে তার সেই লড়াইয়ে বাঁধা আসে।

তবে, লেডবেটারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, পরবর্তীতে মার্কিন কংগ্রেসে একটি আইন পাস হয়, যা কর্মীদের তাদের কর্মক্ষেত্রে বেতন বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আরও বেশি সুযোগ করে দেয়। ক্লার্কসন জানান, এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি লেডবেটারের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, কীভাবে লেডবেটারের স্বামী চার্লস সবসময় তার পাশে ছিলেন এবং সমর্থন জুগিয়েছিলেন। ক্লার্কসন তার নিজের মা এবং বাবার মধ্যেকার সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন, যেখানে তিনি তার মাকে সবসময় সমর্থন জুগিয়েছেন।

প্যাট্রিসিয়া ক্লার্কসন মনে করেন, নারী-পুরুষের সমান বেতন কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, বরং এটি একটি মানবাধিকারের বিষয়। তিনি বলেন, “একজন নারী যখন সমান বেতন পান, তখন সবাই জয়ী হয়।

ক্লার্কসন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি নারীদের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করে, তবে এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এই অভিনেত্রী মনে করেন, নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে নারীদের যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্লার্কসন বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, এই ধরনের প্রতিবাদ শুধুমাত্র নারীদের অধিকারের জন্য নয়, বরং সমাজের সকল মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *