কম কেনাকাটা করুন: প্যাট্রিক গ্রান্টের নতুন পরামর্শ!

কম খান, ভালো কিনুন: ফ্যাশন দুনিয়ায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন প্যাট্রিক গ্র্যান্ট

ফ্যাশন জগৎ সবসময়ই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। দ্রুতগতির এই দুনিয়ায় নিত্যনতুন পোশাকের চাহিদা তৈরি হয়, যা পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

আর এই ধারণার বিপরীতে দাঁড়িয়ে, কম জিনিস কিনে ভালো জিনিস ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন ব্রিটিশ ফ্যাশন দুনিয়ার পরিচিত মুখ, প্যাট্রিক গ্র্যান্ট। তাঁর নতুন বই ‘লেস: স্টপ বাইয়িং সো মাচ রাবিশ’ (কম কিনুন: এত আবর্জনা কেনা বন্ধ করুন) -এ তিনি এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

প্যাট্রিক গ্র্যান্ট শুধু একজন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞই নন, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও। নর্টন অ্যান্ড সন্স-এর মতো ঐতিহ্যপূর্ণ একটি টেইলারিং হাউস এবং কমিউনিটি ক্লথিং-এর মতো ব্র্যান্ডের মালিক তিনি।

কমিউনিটি ক্লথিং-এর মূল লক্ষ্য হলো, ভালো মানের পোশাক তৈরি করা, যা যুক্তরাজ্যের স্থানীয় কারখানায় তৈরি হয় এবং সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তাঁর মতে, ফ্যাশন ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বেশি লাভের দিকে নজর না দিয়ে, ভালো মানের পণ্য তৈরি করা এবং ক্রেতাদের কাছে তা সহজলভ্য করা।

প্যাট্রিক গ্র্যান্টের মতে, বর্তমান ফ্যাশন বাজার দ্রুত পরিবর্তনশীল। যেখানে অল্প দামে বেশি জিনিস কেনার প্রবণতা বাড়ে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

তাঁর মতে, একটি পোশাক একবার পরার পরেই তা ফেলে দেওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। বরং, দীর্ঘস্থায়ী এবং ভালো মানের পোশাক কেনায় মনোযোগ দিতে হবে।

এই ধারণার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় গ্র্যান্টের নিজের জীবনযাত্রায়। তিনি খুব বেশি পোশাক কেনেন না।

তাঁর পোশাকের তালিকায় সাধারণত ভালো মানের কয়েকটি সাধারণ পোশাক থাকে, যা তিনি দিনের পর দিন পরেন। তাঁর পছন্দের তালিকায় রয়েছে সাদা আন্ডারওয়্যার, যা তিনি ওয়েলসে তৈরি করিয়ে নেন।

এছাড়াও, তাঁর জুতো তৈরি হয় বোল্টনে, মোজা তৈরি হয় সাসেক্সে। পোশাকের উপাদান থেকে শুরু করে তার উৎপত্তিস্থল— সবকিছুতেই তিনি স্থানীয় উত্পাদনকে গুরুত্ব দেন।

গ্র্যান্টের এই দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে, বাংলাদেশের ফ্যাশন ব্যবসায়ীরাও টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব পোশাক তৈরির কথা ভাবতে পারেন।

স্থানীয় কারিগরদের তৈরি পোশাকের প্রচার এবং ভালো মানের পোশাকের দিকে মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে।

প্যাট্রিক গ্র্যান্টের এই নতুন ধারণা, বর্তমান ফ্যাশন দুনিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। ক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, আমাদের পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *