ছোট ছোট পুঁতির মতো দেখতে খাবারগুলো এখন খাদ্যরসিকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এই খাবারগুলো মুখে দিলেই যেন এক ভিন্ন স্বাদের বিস্ফোরণ ঘটে, যা খাদ্যতালিকার স্বাদ এবং উপস্থাপন উভয় দিকেই যোগ করছে নতুন মাত্রা।
পশ্চিমা বিশ্বে এটি ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে, এবং খাদ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভবিষ্যতে এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।
এই ধরনের খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ক্যাভিয়ার বা মাছের ডিম। বিভিন্ন ধরনের মাছের ডিম স্বাদে ভিন্নতা নিয়ে আসে এবং এটি নানা পদের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
ব্লিনি, টোস্ট অথবা আলুর প্যানকিকের সাথে ক্যাভিয়ার পরিবেশন করা হয়, যা এর স্বাদকে আরো বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ফিঙ্গার লাইম বা আঙুলের মতো দেখতে লেবুও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
ফিঙ্গার লাইমের ভেতরে ছোট ছোট দানাদার কোষ থাকে, যা অনেকটা ক্যাভিয়ারের মতোই। এর স্বাদ ও গঠন এটিকে বিভিন্ন খাবারে, বিশেষ করে সি-ফুডের সাথে পরিবেশনের জন্য দারুণ করে তোলে।
আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হলো বব চা বা বাবুল টি। এই চা তাইওয়ান থেকে এসেছে এবং বর্তমানে সারা বিশ্বে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
ববা সাধারণত ট্যাপিয়োকা স্টার্চ থেকে তৈরি করা হয়। এই ছোট ছোট বলগুলো চিবিয়ে খাওয়ার মতো, যা ঠান্ডা চায়ের সাথে পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও, বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের ‘পপিং ববা’ পাওয়া যায়, যা মুখে দিলেই ফেটে যায় এবং ভিন্ন স্বাদ দেয়।
এছাড়াও, ‘স্ফেরিফিকেশন’ নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরল খাবারকে পুঁতির মতো রূপ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে সোডিয়াম অ্যালজিনেট এবং ক্যালসিয়াম ব্যবহার করে তরল খাবারের চারপাশে একটি পাতলা স্তর তৈরি করা হয়, যা কামড় দিলে ফেটে যায়।
ব্যালসামিক ভিনেগার, লেবুর রস বা বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে এই ধরনের পুঁতি তৈরি করা হয়। ইতালীয় ব্যালসামিক ভিনেগার প্রস্তুতকারক ডে নিগ্রিস-এর তৈরি ব্যালসামিক ভিনেগারের পুঁতি বেশ পরিচিত।
এই ধরনের পুঁতি সালাদ, পাস্তা অথবা ডেজার্টের সাথে পরিবেশন করা হয়।
আমাদের দেশের খাদ্য সংস্কৃতিতে এই ধরনের খাবারের ধারণা এখনো নতুন হতে পারে, তবে এর স্বাদ এবং উপস্থাপনার ভিন্নতা খাদ্যপ্রেমীদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে।
ভবিষ্যতে হয়তো এই ধরনের খাবারগুলো আমাদের দেশেও জনপ্রিয়তা পাবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস