প্রখ্যাত অভিনেতা পেড্রো পাস্কাল আবারও ব্রিটিশ লেখিকা জে.কে. রাওলিংয়ের ট্রান্সজেন্ডার বিরোধী মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাওলিংয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
পাস্কাল, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছেন, তাঁর বোন লাক্স পাস্কাল ২০১৯ সালে রূপান্তরকামী (ট্রান্সজেন্ডার) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই এই ইস্যুতে আরও বেশি সোচ্চার হয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাউলিংয়ের ঘৃণ্য আচরণ আমাকে অসুস্থ করে তোলে।”
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন রাওলিং। সেই রায়ে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের আইনে নারীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হবে শুধুমাত্র জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাস্কাল সামাজিক মাধ্যমে রাওলিংয়ের কঠোর সমালোচনা করেন।
পাস্কাল জানান, রাওলিংয়ের সমালোচনার জন্য তিনি প্রথমে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর এই পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে কিনা। তবে, শেষ পর্যন্ত তিনি মনে করেন, “আমি যাদের ভালোবাসি, তাদের রক্ষা করতে চাই। বুলিং বা উৎপীড়ন আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দেয়।”
পাস্কালের বোন জাভেরা বালমাসেদা পাস্কালও তাঁর ভাইয়ের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, “আমার ভাই, যিনি তাঁর ছোট বোনের অস্তিত্বের পক্ষে কথা বলেছেন, তাঁর এই কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
এর আগে, গত এপ্রিলে লন্ডনে মার্ভেল-এর ‘থান্ডারবোল্টস’ সিনেমার প্রিমিয়ারে “প্রটেক্ট দ্য ডলস” লেখা একটি টি-শার্ট পরেছিলেন পেড্রো পাস্কাল। “ডলস” শব্দটি রূপান্তরকামী নারীদের প্রতি এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই টি-শার্টটি ছিল মার্কিন ডিজাইনার কনার আইভসের একটি প্রচারণার অংশ, যা ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি হওয়া বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে সহায়তা করে।
পাস্কালের আসন্ন সিনেমা ‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’ আগামী ২৫ জুলাই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ‘মেটেরিয়ালিস্টস’ সিনেমাতেও তিনি অভিনয় করেছেন, যা বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে চলছে।
তথ্য সূত্র: পিপল