নব্বই বছর বয়সেও সঙ্গীত পরিবেশনা করছেন, এমন কিংবদন্তী শিল্পী পেগি সিগার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তার দীর্ঘ সঙ্গীত জীবন, বব ডিলান, জনপ্রিয় প্রেমের গান এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তার উদ্বেগের কথা।
পেগি সিগার, যিনি একাধারে শিল্পী এবং গীতিকার, বর্তমানে তার ‘ফাইনাল ফেয়ারওয়েল’ ট্যুরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দীর্ঘ এই সঙ্গীত জীবনে তিনি অর্জন করেছেন আকাশচুম্বী খ্যাতি।
তার বিখ্যাত একটি গানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আর সেটি হলো ‘দ্য ফার্স্ট টাইম এভার আই স ইউর ফেস’। গানটি রচনা করেছিলেন ইওন ম্যাককল। এই গানটি নিয়ে পেগি বলেন, গানটি যখন তিনি প্রথম শোনেন, তখন এর গভীরতা অনুভব করতে পারেননি, তবে পরবর্তীতে এর মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
সাক্ষাৎকারে বব ডিলানের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন পেগি। তিনি জানান, বব ডিলান যখন রবার্ট জিমারম্যান নামে পরিচিত ছিলেন, তখন তাদের দেখা হয়।
পেগি বলেন, ডিলানের কণ্ঠ হয়তো “ভালো” ছিল না, তবে তার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য ছিল, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি তার জনপ্রিয় গান ‘আই’ম গনা বি অ্যান ইঞ্জিনিয়ার’-এর কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই গানটি লেখার পেছনে একটি বিশেষ অনুপ্রেরণা ছিল।
তিনি বলেন, সমাজে নারীদের প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হতো, সেই বিষয়টি তিনি গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
সঙ্গীতে সামাজিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পেগি সিগার বলেন, “ফোক গান তৈরি করা যায় না, এটি তৈরি হয়।” তিনি মনে করেন, একটি ভালো ফোক গান সমাজের মানুষের কথা বলে এবং পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের প্রজাতিকে ধ্বংস করে দেবে।”
পেগি তার ভাই, কিংবদন্তী শিল্পী পিট সিগারের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “আমার ভাই ছিলেন অসাধারণ, মানুষের গান গাওয়ার প্রতি তার আগ্রহ ছিল দৃষ্টান্তমূলক।”
নিজের মা, রুথ ক্র rawফোর্ড সিগারের সঙ্গীতচর্চা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পেগি জানান, তিনি তার মায়ের কাজ সম্পর্কে সেভাবে জানতেন না, তবে পরে জানতে পারেন তার মা ছিলেন একজন অসাধারণ সুরকার।
পেগি সিগারের মতে, সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষ সবসময় তাদের আশা ও স্বপ্নের কথা প্রকাশ করার জন্য সঙ্গীতকে বেছে নেবে।
বর্তমানে তার ‘টেলিলজি’ নামের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান