পেঙ্গুইন শিক্ষক: স্টিভ কুকানের নতুন ছবিতে হাসির মোড়কে অন্যরকম গল্প!

স্টিফেন কুগান অভিনীত “দ্য পেঙ্গুইন লেসনস” সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সিনেমাটি মূলত টম মিশেলের লেখা একটি স্মৃতিকথার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

১৯৭৬ সালের আর্জেন্টিনার পটভূমিতে নির্মিত এই ছবিতে একজন শিক্ষকের গল্প বলা হয়েছে, যিনি একটি পেঙ্গুইনকে উদ্ধার করেন এবং তার দেখাশোনা করেন।

সিনেমাটিতে টম চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্টিভ কুগান। ছবিতে দেখা যায়, টম পেরোনিজমের সময়কালে আর্জেন্টিনার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে যান।

সেখানে তিনি ধনী পরিবারের সন্তানদের পড়াতেন। ছুটিতে তিনি উরুগুয়ে ভ্রমণে গিয়ে সমুদ্রের তেল থেকে একটি পেঙ্গুইনকে উদ্ধার করেন।

এরপর তিনি পেঙ্গুইনটিকে নিজের কাছে রাখেন এবং তার নাম দেন জুয়ান সালভাদর। এই পেঙ্গুইনটিই একাকী শিক্ষক টমের একমাত্র বন্ধু হয়ে ওঠে।

তবে ছবির গল্প বলার ধরনে সমালোচকরা ভিন্নমত পোষণ করেছেন। একদিকে যেমন রয়েছে পেঙ্গুইনের সঙ্গে শিক্ষকের বন্ধুত্বের গল্প, যা দর্শকদের মন জয় করতে পারে।

অন্যদিকে, ১৯৭০-এর দশকের আর্জেন্টিনার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামরিক শাসনের মতো বিষয়গুলোও ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, দুটি ভিন্ন ধরনের বিষয় একসঙ্গে পরিবেশন করতে গিয়ে সিনেমার মেজাজে একটা অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছে।

পর্যালোচকরা মনে করেন, হয়তো ছবিটিকে হয় শুধু পেঙ্গুইন এবং শিক্ষকের বন্ধুত্বের গল্প অথবা আর্জেন্টিনার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হলে ভালো হতো।

কারণ, একসঙ্গে দুটি বিষয় দর্শকের কাছে পরিপূর্ণতা পায়নি। স্টিভ কুগানের অভিনয় নিয়েও অনেকে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, কুগানের অভিনয় এখানে কিছুটা দুর্বল ছিল।

“দ্য পেঙ্গুইন লেসনস” সিনেমাটি বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে বা কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *