যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ঝড়, একজনের মৃত্যু, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বন্যার শঙ্কা।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, যার ফলে একজন নিহত হয়েছেন এবং বহু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। টেক্সাস থেকে শুরু করে ভারমন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিটসবার্গে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শহরটির জননিরাপত্তা বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ঝড়ের কারণে মধ্য-আটলান্টিক এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সাত লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওহাইও এবং পশ্চিম পেনসিলভানিয়াতে তীব্র বাতাস বয়ে যায়, যার গতি কোনো কোনো স্থানে ছিল টর্নেডোর থেকেও বেশি। ঝড়ের কারণে গাছপালা উপড়ে যায় এবং অনেক বাড়ির ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিটসবার্গের আশেপাশের কয়েকটি স্কুল বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং আরও কিছু স্কুলের ক্লাস দেরিতে শুরু হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, টেক্সাস থেকে ভারমন্ট পর্যন্ত প্রায় ১,৮০০ মাইল এলাকাজুড়ে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে ওহাইও, পেনসিলভানিয়া এবং নিউ ইয়র্কের কিছু অংশে এবং টেক্সাস ও ওকলাহোমার কিছু অংশে ঝড় আরও তীব্র হতে পারে। মিসৌরিতেও ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে। সেখানকার শক্তিশালী বাতাসে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এতে করে প্রায় ৬০ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই ঝড়গুলোর কারণে ভারী বৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে বন্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে টেক্সাস ও ওকলাহোমার কিছু অংশে বন্যার আশঙ্কা অনেক বেশি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি কয়েক দিন ধরে চলতে পারে। ওকলাহোমার কিছু অঞ্চলে “মারাত্মক” বন্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছে। কর্তৃপক্ষ জনগণকে নিরাপদ থাকতে এবং বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশেও বর্ষাকালে প্রায়ই বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং জনগণের সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন