মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান, পিটার হেগসেথের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি অত্যন্ত গোপনীয় সামরিক তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি ব্যক্তিগত মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেছেন।
পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ পরিদর্শক দপ্তর, যারা সরকারি কর্মকর্তাদের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখে, এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জানা গেছে, হেগসেথ এবং অন্যান্য শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ইয়েমেনে হাউথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনার জন্য ‘সিগন্যাল’ নামক একটি এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেছিলেন। এই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গোপনীয়।
এর মধ্যে সামরিক অভিযানের সময় এবং ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল।
তদন্তকারীরা এখন জানার চেষ্টা করছেন, হেগসেথ সরকারি নিয়মকানুন এবং নিরাপত্তা বিধিগুলি অনুসরণ করেছেন কিনা। বিশেষ করে, গোপন তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি কতটা সতর্ক ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়াও, এই আলোচনার রেকর্ড সংরক্ষণে কোনো ত্রুটি ছিল কিনা, সে বিষয়েও তারা অনুসন্ধান চালাবেন।
এই তদন্তের সূত্রপাত হয় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে। একটি মার্কিন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হেগসেথের মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়টি সামনে আসে।
এরপর, সিনেটের সামরিক বিষয়ক কমিটির সদস্যরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পরিদর্শক দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান।
যদিও হেগসেথের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনি কোনো গোপন তথ্য আদান-প্রদান করেননি। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি কেবল একটি চলমান পরিকল্পনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করছিলেন, যা ইতিমধ্যে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল।
তবে, পরিদর্শক দপ্তর বলছে, তদন্তের স্বার্থে হেগসেথকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হতে পারে।
উল্লেখ্য, এই তদন্তের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক স্টিভেন স্টেবিন্সকে এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়োগ করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের শুরুতে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন