পেপসিকো’র নতুন পদক্ষেপ, কোলা প্রেমীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ‘প্রি-বায়োটিক কোলা’।
কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা পেপসিকো তাদের ক্লাসিক কোলা’র একটি স্বাস্থ্যকর সংস্করণ বাজারে আনতে চলেছে। এই নতুন সংস্করণটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পেপসি প্রি-বায়োটিক কোলা’।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে, তাই তাদের আকৃষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ। খবর সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বরের ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ থেকে অনলাইনে এই পানীয়টি পাওয়া যাবে।
এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এটি খুচরা বাজারেও পাওয়া যাবে।
কোম্পানি সূত্রে খবর, এই নতুন কোলা তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর উপাদানের উপর। এতে প্রি-বায়োটিক ফাইবার ব্যবহার করা হয়েছে, যা হজমক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়ক।
একইসাথে, এতে চিনির পরিমাণও কম রাখা হয়েছে। এই পানীয়তে কোনো কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা হয়নি।
পেপসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কোলা’র স্বাদ এবং ক্যালোরির পরিমাণ ঐতিহ্যবাহী কোলার মতোই থাকবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কোমল পানীয়র চাহিদা কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্যকর বিকল্পের দিকে ঝুঁকছেন তারা।
বাজারে স্পার্কলিং ওয়াটার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পেপসিকো মনে করছে, এই নতুন প্রি-বায়োটিক কোলা তাদের পুরনো গ্রাহকদের আবারও আকৃষ্ট করতে পারবে।
পেপসিকো’র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা ‘পপি’ নামক একটি প্রি-বায়োটিক সোডা ব্র্যান্ডও কিনেছে। খুব শীঘ্রই ‘পপি’র বিতরণ ব্যবস্থাকে পেপসিকো’র সঙ্গে একত্রিত করা হবে।
এর ফলে, রেস্টুরেন্ট, ট্রাভেল আউটলেট এবং কলেজ সহ আরও অনেক দোকানে পপির পণ্য পাওয়া যাবে।
তবে, এই ধরনের নতুন পণ্য বাজারে আনা সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। কোকাকোলা গত বছর তাদের ‘স্পাইসড’ ফ্লেভারের কোলা এনেছিল, যা ভোক্তাদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয় এবং ছয় মাসের মধ্যেই বাজার থেকে তুলে নিতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেপসিকো’র এই পদক্ষেপ বাজারের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। কারণ, স্বাস্থ্যকর পানীয়ের চাহিদা বাড়ছে।
তবে, তাদের নিজস্ব ‘পপি’ ব্র্যান্ড থাকা সত্ত্বেও কেন তারা এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পেপসিকো কর্তৃপক্ষের মতে, এই নতুন প্রি-বায়োটিক কোলা’র মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন তাদের ঐতিহ্যবাহী কোলার স্বাদ ধরে রাখতে চাইছে, তেমনি স্বাস্থ্য সচেতন গ্রাহকদেরও আকৃষ্ট করতে পারবে।
তথ্য সূত্র: CNN