হঠাৎ বিদায়! বিতর্কের মাঝে হেগসেথের চিফ অফ স্টাফের পদত্যাগ

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন কর্মকর্তার আকস্মিক প্রস্থান নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় চলছে। দেশটির প্রতিরক্ষা সচিবের চিফ অফ স্টাফ জো ক্যাসপারের পদত্যাগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

পেন্টাগনে ক্ষমতা দখলের একটি নাটকীয় ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি, এমন অভিযোগও উঠেছে।

জানা গেছে, ক্যাসপার তার পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এবং সরকারি সম্পর্ক ও পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করবেন। তবে পেন্টাগনের সঙ্গে তার সম্পর্ক সীমিত থাকবে।

কয়েক দিন আগেও, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পেটে হেগসেথ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে ক্যাসপার সম্ভবত বিভাগের অন্য কোনো পদে যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যাসপারের এই প্রস্থানের সিদ্ধান্ত আসে।

ক্যাসপারের এই বিদায় এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিলেন, যার ফলস্বরূপ পেন্টাগনের তিনজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে – ড্যান ক্যাল্ডওয়েল, দারিন সেলনিক এবং কলিন ক্যারলকে – বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া, ক্যাসপারের বিরুদ্ধে মিটিংয়ে দেরিতে আসা, গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ না করা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের মতো অভিযোগও রয়েছে।

এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পেটে হেগসেথের বিরুদ্ধে ওঠা একটি অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার অফিসে একটি অনিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করেছিলেন, যা সরকারি নিরাপত্তা প্রোটোকল লঙ্ঘন করে।

এর ফলে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।

জো ক্যাসপার এর আগে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, মার্কিন নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীতে কাজ করেছেন। পরে তিনি লবিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

ক্যাসপারের এই আকস্মিক প্রস্থান এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *