পেন্টাগনে মেকআপ স্টুডিও তৈরির পরিকল্পনার জেরে বিতর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। জানা গেছে, এর জন্য কয়েক হাজার ডলার খরচ হতে পারে।
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা সিবিএস নিউজ সূত্রে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পেন্টাগনের প্রেস রুমের কাছে এই মেকআপ স্টুডিও তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর জন্য ৪০ হাজার ডলারের বেশি খরচ হওয়ার কথা ছিল। তবে পরে সেই পরিকল্পনা কিছুটা ছোট করা হয়।
জানা যায়, হেগসেথের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট Tami Radabaugh এই পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন। এছাড়া, চিফ পেন্টাগন মুখপাত্র শন পার্নেল এবং হেগসেথের স্ত্রী জেনিফার রাউচেটও এই আপগ্রেডের অনুমোদন করেন। উল্লেখ্য, রাউচেট এবং রাডাবাউথ দুজনেই একসময় ফক্স নিউজের প্রযোজক ছিলেন।
তবে, পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ভিন্ন দাবি করা হয়েছে। তাদের মতে, প্রেস ব্রিফিং রুমে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা খুব সামান্য এবং এর জন্য বেশি খরচ হয়নি।
মূলত, গ্রিন রুমের কিছু সংস্কার করা হয়েছে এবং সেখানে মেকআপের জন্য উপযুক্ত আলো ও বড় আয়না লাগানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জানান, “প্রতিরক্ষা বিভাগের ব্রিফিং রুমে পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। সাধারণত, প্রশাসনের পরিবর্তনের সময় এমনটা হয়ে থাকে।”
পিট হেগসেথ একসময় ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস উইকেন্ডের মতো অনুষ্ঠানে নিয়মিত মুখ ছিলেন। বিভিন্ন প্রেসের অনুষ্ঠানে তিনি নিজেই মেকআপ করতেন।
বর্তমানে হোয়াইট হাউসের প্রেস রুমে হেগসেথকে দেখা না গেলেও, তিনি নিয়মিত ফক্স নিউজে উপস্থিত হন।
অন্যদিকে, হেগসেথের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি মার্কিন সামরিক বাহিনীর গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন। জানা যায়, তিনি সিগন্যাল চ্যাটের মাধ্যমে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
এছাড়া, এই চ্যাটে তিনি নিজের স্ত্রী, ভাই এবং ব্যক্তিগত আইনজীবীর সঙ্গেও তথ্য আদান-প্রদান করেছেন। যদিও, প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, সিগন্যাল চ্যাটে কোনো গোপন তথ্য আদান-প্রদান হয়নি।
এই ঘটনার জেরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেগসেথের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল