গ্লাসগোর সেই দিনের কথা! পিটার ক্যাপাল্ডির চোখে দেখা…

পিটার ক্যাপাল্ডি: অভিনয়ে সাফল্যের পর এবার সঙ্গীতে, নতুন অ্যালবামে নস্টালজিয়া

অভিনেতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন পিটার ক্যাপাল্ডি। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ডাক্তার হু’ অথবা ‘দ্য থিক অফ ইট’-এর মতো জনপ্রিয় কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীতের প্রতিও রয়েছে তাঁর গভীর অনুরাগ।

সম্প্রতি ৬২ বছর বয়সে তিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘সুইট ইলিউশনস’। অভিনয়ের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পর সঙ্গীতে ফিরে আসা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

ক্যাপাল্ডির সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা নতুন নয়। ছোটবেলায় তিনি শুনতেন বিটলস এবং ফ্র্যাঙ্ক সিনাত্রার গান। তাঁর পরিবারেও ছিল সঙ্গীতের আবহ।

বাবা পিয়ানো বাজাতেন, কাকা বাজাতেন অ্যাকর্ডিয়ান ও গিটার, এমনকি কৌতুক করতেন আরেকজন কাকা। সেই সূত্রে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনার একটা পরিবেশ ছিল।

শিল্পী হিসেবে পরিচিত হওয়ার আগে, ১৯৭০-এর দশকে তিনি ‘দ্য ড্রিম বয়েজ’ নামে একটি ব্যান্ডে বাজাতেন। তাঁর ব্যান্ডের ড্রামার ছিলেন কমেডিয়ান ক্রেইগ ফার্গুসন।

ক্যাপাল্ডি জানিয়েছেন, আর্ট স্কুলে পড়ার সময় তাঁর মনে হয়েছিল, ব্যান্ড তৈরি করা যায়। সেই সময়ে তিনি ডেভিড বোউই, টকিং হেডস এবং দ্য ক্র্যাম্পস-এর মতো ব্যান্ড দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।

তবে মিউজিক জগতে প্রবেশের শুরুতে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। বরং ১৯৮৪ সালে গ্লাসগো-এর সঙ্গীত জগতে যে সিন্থ ও ফাজি গিটারের যুগ ছিল, সেই সময়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল।

অভিনয়ের জগতে তাঁর প্রবেশও বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে একটি কনসার্টে গিয়ে স্থানীয় এক পরিচালকের নজরে পড়েন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে ‘লোকাল হিরো’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান, যা তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

ক্যাপাল্ডির নতুন অ্যালবামটি মূলত নস্টালজিয়া ও বার্ধক্যের অনুভূতি নিয়ে তৈরি। অ্যালবামের ‘বিন নাইট’ গানটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যেখানে তিনি বর্তমান জীবন এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলেছেন।

তাঁর মতে, গান লেখার অনুপ্রেরণা আসে জীবনের নানা অভিজ্ঞতা থেকে।

সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আবেগ সবসময় ছিল। তাঁর কাজিন, জনপ্রিয় শিল্পী লুইস ক্যাপাল্ডির ‘সামওয়ান লাইক ইউ’ গানের মিউজিক ভিডিওতে তিনি অভিনয় করেছেন।

পিটার ক্যাপাল্ডি মনে করেন, প্রযুক্তি এখন যেকোনো বয়সের মানুষকে নতুন কিছু করার সুযোগ করে দেয়। এই অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি যেন পুরনো দিনের স্মৃতিগুলোকেই নতুন করে খুঁজে ফিরেছেন।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *