যুক্তরাষ্ট্রে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগে ফিলাডেলফিয়ার একটি জনপ্রিয় খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র – গরুর মাংসের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার একটি জনপ্রিয় ‘চিজস্টেক’ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক। জিম’স সাউথ স্ট্রিট-এর প্রেসিডেন্ট কেন সিলভার জানিয়েছেন, গরুর মাংসের দাম বাড়ায় তাদের ব্যবসার মুনাফা কমে যাচ্ছে।
যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে হয়তো তাদের খাদ্যের দাম বাড়াতে হতে পারে।
ফিলাডেলফিয়ার ‘চিজস্টেক’ একটি সুপরিচিত খাবার। এটি মূলত পাতলা করে কাটা গরুর মাংস, পনির এবং পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি করা হয়। খবর অনুযায়ী, গত এক বছরে গরুর মাংসের দাম প্রতি পাউন্ডে প্রায় ১ ডলার বেড়েছে।
শুধু তাই নয়, একটি অগ্নিকাণ্ডের পর, যখন তারা পুনরায় ব্যবসা শুরু করেন, তখন থেকেই মাংসের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
কেন সিলভার জানান, বর্তমানে একটি ‘চিজস্টেক’ স্যান্ডউইচের দাম ১৩.৪৯ ডলার, যা ২০২২ সালে ছিল ১১.৪৯ ডলার। অর্থাৎ, দুই বছরে এর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে তারা দাম না বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা আশা করছেন, গ্রীষ্মের মাসগুলো পার হয়ে গেলে হয়তো মাংসের দাম কিছুটা কমতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাজারে গরুর মাংসের দামও বাড়ছে। জুন মাসে, এক পাউন্ড গরুর মাংসের গড় দাম ছিল ৬.১২ ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।
এছাড়া, গরুর মাংসের স্টেক-এর দাম বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।
এই পরিস্থিতিতে, অনেক গ্রাহক মনে করছেন, দাম বাড়লেও তারা হয়তো এই খাবারটি খাওয়া চালিয়ে যাবেন। কারণ, তাদের মতে, বর্তমান বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়ছে, তাই এখানেও হয়তো এর ব্যতিক্রম হবে না।
যদি আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি দেখি, তাহলে দেখা যায়, এখানেও খাদ্যপণ্যের দাম প্রায়ই বাড়ে। বিশেষ করে, বিভিন্ন উৎসবের সময় গরুর মাংসের দাম বেড়ে যায়, যা অনেক সময় ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়।
বর্তমানে, জিম’স সাউথ স্ট্রিটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের রুচি এবং গুণমান বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, তাদের টিকে থাকার জন্য হয় দাম বাড়াতে হবে, না হয় মুনাফা কমাতে হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস