যুক্তরাষ্ট্রে এবার বাজারে আসছে আচার স্বাদের র্যামেন!
খাবারের জগতে নিত্যনতুন উদ্ভাবন চলছেই।
এবার সেই ধারায় যুক্ত হলো অভিনব এক পদ – আচার স্বাদের র্যামেন। প্রস্তুতকারক সংস্থা কাপ নুডলস বাজারে নিয়ে আসছে এই নতুন স্বাদের র্যামেন, যেখানে নুডলসের সঙ্গে মিশেছে আচারের টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদ।
খবরটি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান প্রজন্মের খাদ্যরুচি এবং সামাজিক মাধ্যমের ট্রেন্ডের দিকে নজর রেখেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।
বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম (যাদের মধ্যে জেন-জি এবং মিলিনিয়াল প্রজন্মের মানুষের সংখ্যা বেশি) এই ধরনের ভিন্ন স্বাদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি পোপয়েস এবং শেক শ্যাকের মতো খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থায়ও এই ধরনের ফ্লেভার দেখা গেছে।
কাপ নুডলসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “ডিল পिकल” ফ্লেভারের এই র্যামেন তৈরি করা হয়েছে, যা তাদের চিরাচরিত চিকেন বা ভেজিটেবল সুপের থেকে কিছুটা ভিন্ন।
প্রস্তুতকারক সংস্থার মতে, এই র্যামেনের স্বাদ খুবই চমৎকার।
খাবার বিষয়ক বাজার গবেষণা সংস্থা সারকানা’র একজন বিশেষজ্ঞের মতে, বিভিন্ন কারণে ইদানিং আচার জাতীয় খাবারের চাহিদা বাড়ছে।
এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এই ধরনের খাবারে স্বাদ এবং মশলার ভিন্নতা আনা সম্ভব, যা ভোক্তাদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই ধরনের খাবারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, যা ভোক্তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত সময়ের জন্য এই “কাপ নুডলস ডিল পिकल” র্যামেন পাওয়া যাবে।
প্রতিটি কাপের দাম ধরা হয়েছে ১.১৭ মার্কিন ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ১৩০ টাকার কাছাকাছি)।
র্যামেনের বাজারে এই মুহূর্তে বেশ ভালোই ব্যবসা হচ্ছে।
শুধু স্বাদ বা নতুনত্ব আনাই নয়, খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণেও র্যামেন এখন ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।
এই বাজারে টিকে থাকতে এবং নিজেদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন সংস্থা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে।
এক্ষেত্রে, খাদ্য ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাদের খাবার যুক্ত করার দিকে ঝুঁকছেন। উদাহরণস্বরূপ, নেসলে তাদের জনপ্রিয় ম্যাগি নুডলস, যা মূলত ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অংশ, তা এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে এসেছে।
ম্যাগি নুডলসের ভারতীয় মশলা, কোরিয়ান স্পাইসি বারবিকিউ এবং চাইনিজ স্পাইসি গার্লিক ফ্লেভারগুলো এরই মধ্যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
খাদ্য বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন দেশের খাবারের মিশ্রণ এবং ভিন্ন স্বাদের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন