মিনেসোটা রাজ্যে অনুষ্ঠিত একটি বাস্কেটবল খেলায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়, যেখানে মিনেসোটা টিম্বারওয়লভস এবং ডেট্রয়েট পিস্টনস দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খেলার দ্বিতীয় কোয়ার্টারে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে মাঠ ছাড়তে হয় উভয় দলের মোট সাত জন খেলোয়াড় ও কোচকে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন পিস্টনসের খেলোয়াড় ইসাইয়া স্টুয়ার্টকে একটি টেকনিক্যাল ফাউল দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই, টিম্বারওয়লভসের নায রেইডের সাথে পিস্টনসের খেলোয়াড় রন হল্যান্ডের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়।
পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং উভয় দলের খেলোয়াড়েরা এতে জড়িয়ে পরে। এমনকি উভয় দলের কোচিং স্টাফের সদস্যরাও নিজেদের মধ্যে বিতর্কে লিপ্ত হন।
ডেট্রেট পিস্টনসের প্রধান কোচ জে.বি. বেকারস্টাফ এবং টিম্বারওয়লভসের সহকারী কোচ পাবলো প্রিজিওনিকেও মাঠ ছাড়তে হয়।
এছাড়াও, ডেট্রয়েটের মার্কাস স্যাসারের পাশাপাশি মিনেসোটার ডন্টে ডিভিঞ্চেনজোকেও এই ঘটনার কারণে খেলা থেকে বহিস্কার করা হয়।
ঘটনার পরে, ডেট্রয়েট পিস্টনসের কোচ বেকারস্টাফ বলেন, “অবশ্যই, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। তবে খেলোয়াড়রা একে অপরের প্রতি যেভাবে সমর্থন দেখিয়েছে, তা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এই ঘটনার ফলস্বরূপ, রেফারিকে খেলায় মোট বারোটি টেকনিক্যাল ফাউল দিতে হয়, যা ২০০৫ সালের পর থেকে কোনো এনবিএ (NBA) ম্যাচে দেওয়া সর্বোচ্চ ফাউলের রেকর্ড।
টিম্বারওয়লভসের কোচ ক্রিস ফিঞ্চ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি মনে করি খেলার শুরু থেকেই খেলাটা অতিরিক্ত শারীরিক হয়ে উঠেছিল।
এটা দুর্ভাগ্যজনক, তবে আমরা জানতাম যে তারা খুবই শারীরিক শক্তি নির্ভর দল। খেলোয়াড়রা তাদের নিজস্ব পথে বিষয়গুলো সমাধান করতে চেয়েছিল, যা আমরা কখনই চাই না।”
খেলার ফলাফল ছিল টিম্বারওয়লভসের পক্ষে ১২৩-১০৪।
খেলায় পিছিয়ে থেকেও টিম্বারওয়লভস শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করে।
এই ঘটনার ফলে খেলার উত্তেজনা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছিল, তেমনি বাস্কেটবল প্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল এক ভিন্ন ধরনের উন্মাদনা।
তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস