বোলিভিয়ার আমাজন অঞ্চলে বিধ্বস্ত একটি বিমান থেকে অলৌকিকভাবে পাঁচজন যাত্রী, যাদের মধ্যে একটি শিশুও ছিল, কুমির-ভরা একটি জলাভূমিতে ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় survival করে অবশেষে উদ্ধার হয়েছেন।
গত বুধবার, ৩০শে এপ্রিল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় বাউরেস থেকে ত্রিনিদাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা বিমানটি এক ঘণ্টা ওড়ার পরই যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানায় পাইলট। এর কিছুক্ষণ পরেই বিমানের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
খবর অনুযায়ী, শুক্রবার, ২রা মে, স্থানীয় জেলেদের নজরে আসে বিধ্বস্ত বিমানটি। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে তিনজন নারী এবং ২৯ বছর বয়সী পাইলটও ছিলেন। বেনি বিভাগের জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক উইলসন অ্যাভিলা বিবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, “উদ্ধার হওয়া সবাই সুস্থ আছেন।”
দুর্ঘটনার পর, যাত্রীরা বিমানের ধ্বংসাবশেষের ওপর আশ্রয় নিয়েছিলেন। রেড উনোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “তাঁরা সবাই ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিমানের ধ্বংসাবশেষের উপর জড়ো হয়ে ছিলেন।”
উদ্ধারকারীরা তাদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পাইলট আন্দ্রেস ভেলার্ডে বিবিসি নিউজকে জানান, ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে তিনি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। তিনি ইটানমাস নদীর কাছে বিমানটি অবতরণ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটি জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয়।
ভেলার্ডের মতে, বিমানের জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে কুমিরগুলো তাদের কাছাকাছি আসেনি। তিনি আরও জানান, কুমিরগুলো তাদের থেকে মাত্র তিন মিটার দূরে ঘোরাঘুরি করছিল।
বেনি অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রুবেন তোরেস বিবিসি নিউজকে বলেন, “আমি খুবই আনন্দিত যে অবশেষে সব সংস্থা একত্রিত হয়ে নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের জীবন বাঁচাতে পেরেছে।”
উদ্ধারকারী দল জানায়, আকাশ এবং স্থলপথে অনুসন্ধান চালিয়ে তারা বিমানটির সন্ধান পায়। এরপর দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জীবিতদের উদ্ধার করা হয়।
তথ্য সূত্র: পিপলস